ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেলে দেয়া আমের আঁটির এতো গুণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১
  • ১৭৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুস্বাদু ফল আম। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন যে আম খেতে পছন্দ করে না। মৌসুম প্রায় শেষ হয়ে গেলেও এখনো বাজারে আম পাওয়া যাচ্ছে। তাইতো রয়েছে এর চাহিদাও। দেখা যায়, সুস্বাদু ও সুমিষ্ট আম খেলেও এর আঁটি বা বীজ আমরা ফেলে দেই। কারণ এর বীজ খাওয়া যায় না। এমনটাই আমরা ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি।

তবে এখন গবেষকরা বলছেন- পাকা আমের বীজ বা আঁটি শক্ত হয় বলে তা খাওয়া না গেলেও কাঁচা আমের বীজ কিন্তু খাওয়া যায়। আমের বীজ গুঁড়া করে, মন্ড করে খাওয়া যায়। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক আমের বীজ আমাদের কোন কোন কাজে আসে-

 

ডালের সঙ্গে

ভারতের উত্তরাঞ্চলে ডালের সঙ্গে কাঁচা আম মিশিয়ে রান্না করা হয়। এতে ডালের ভিন্ন এক স্বাদ পাওয়া যায়। আর এই ডাল বেশ স্বাস্থ্যকর, এটি সান স্ট্রোক থেকেও রক্ষা করে। আমাদের দেশেও অনেক এলাকার মানুষ ডালের সঙ্গে কাঁচা আম ও তার আঁটি যুক্ত করে রান্না করে খেতে পছন্দ করেন।

খাবারের স্বাদ বাড়াতে

এক গবেষণায় দেখা গেছে তরকারিতে আমের বীজ ব্যবহার করলে স্বতন্ত্র এক স্বাদ পাওয়া যায়। মেক্সিকোতে ঐতিহ্যবাহী মোল সস তৈরিতে আমের বীজ ব্যবহার করা হয়।

শিশুর দাঁতের মাড়ি মজবুত করতে

বিশ্বের অনেক দেশেই শিশুদের দাঁতের মাড়ি মজবুত করতে তাদেরকে আমের বীজ খাওয়ানো হয়। এক্ষেত্রে মায়েরা খাওয়ার পর আমের আঁটি বা বীজটা শিশুর মুখে দেন। এটি চাবানোর পর মাড়ির ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। পাকা আমের আঁটিতে থাকা সুস্বাদু অংশ মুখে নেয়ার মাধ্যমে শিশু তার মাড়ির ব্যথা অনেকটাই ভুলে যায়।

আমের বীজের উপকারিতা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন আমের বীজের মন্ড তৈরি করে তা মাথায় মাখলে খুশকি দূর হয় ও চুল পাকা বন্ধ হয়। আমের বীজ শুকিয়ে গুঁড়া করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া দূর হয়। বিশেজ্ঞরা আরো বলেছেন নিয়মিত অল্প পরিমাণে আমের বীজের গুঁড়া খেলে হৃদরোগ ও হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ফেলে দেয়া আমের আঁটির এতো গুণ

আপডেট টাইম : ০২:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুস্বাদু ফল আম। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন যে আম খেতে পছন্দ করে না। মৌসুম প্রায় শেষ হয়ে গেলেও এখনো বাজারে আম পাওয়া যাচ্ছে। তাইতো রয়েছে এর চাহিদাও। দেখা যায়, সুস্বাদু ও সুমিষ্ট আম খেলেও এর আঁটি বা বীজ আমরা ফেলে দেই। কারণ এর বীজ খাওয়া যায় না। এমনটাই আমরা ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি।

তবে এখন গবেষকরা বলছেন- পাকা আমের বীজ বা আঁটি শক্ত হয় বলে তা খাওয়া না গেলেও কাঁচা আমের বীজ কিন্তু খাওয়া যায়। আমের বীজ গুঁড়া করে, মন্ড করে খাওয়া যায়। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক আমের বীজ আমাদের কোন কোন কাজে আসে-

 

ডালের সঙ্গে

ভারতের উত্তরাঞ্চলে ডালের সঙ্গে কাঁচা আম মিশিয়ে রান্না করা হয়। এতে ডালের ভিন্ন এক স্বাদ পাওয়া যায়। আর এই ডাল বেশ স্বাস্থ্যকর, এটি সান স্ট্রোক থেকেও রক্ষা করে। আমাদের দেশেও অনেক এলাকার মানুষ ডালের সঙ্গে কাঁচা আম ও তার আঁটি যুক্ত করে রান্না করে খেতে পছন্দ করেন।

খাবারের স্বাদ বাড়াতে

এক গবেষণায় দেখা গেছে তরকারিতে আমের বীজ ব্যবহার করলে স্বতন্ত্র এক স্বাদ পাওয়া যায়। মেক্সিকোতে ঐতিহ্যবাহী মোল সস তৈরিতে আমের বীজ ব্যবহার করা হয়।

শিশুর দাঁতের মাড়ি মজবুত করতে

বিশ্বের অনেক দেশেই শিশুদের দাঁতের মাড়ি মজবুত করতে তাদেরকে আমের বীজ খাওয়ানো হয়। এক্ষেত্রে মায়েরা খাওয়ার পর আমের আঁটি বা বীজটা শিশুর মুখে দেন। এটি চাবানোর পর মাড়ির ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। পাকা আমের আঁটিতে থাকা সুস্বাদু অংশ মুখে নেয়ার মাধ্যমে শিশু তার মাড়ির ব্যথা অনেকটাই ভুলে যায়।

আমের বীজের উপকারিতা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন আমের বীজের মন্ড তৈরি করে তা মাথায় মাখলে খুশকি দূর হয় ও চুল পাকা বন্ধ হয়। আমের বীজ শুকিয়ে গুঁড়া করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া দূর হয়। বিশেজ্ঞরা আরো বলেছেন নিয়মিত অল্প পরিমাণে আমের বীজের গুঁড়া খেলে হৃদরোগ ও হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমে।