উখিয়ার ইনানী সৈকত জুড়ে চলছে মডেলিংয়ের নামে অবাধ শরীর প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন নাম সর্বত্র কোম্পানি মিউজিক ভিডিওর নামে আনকোরা বিভিন্ন নারীদের এখানে এনে অবাধে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে যাচ্ছে প্রতিদিন। এতে ইনানী সহ পুরো কক্সবাজারের সৈকতের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ স্বপরিবারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের।
প্রকাশ্যে এসব দৃশ্য ধারণের ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে পর্যটকরা প্রতিনিয়ত অসস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে নির্বিকার।
জানা গেছে, বর্তমানে বিভিন্ন অশ্লীল ও নিম্নমানের মিউজিক ভিডিওতে ছেঁয়ে গেছে বাজার। অখ্যাত বিভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তথাকথিত মডেলদের নিয়ে এসব ভিডিও নির্মান করে সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। নাম সর্বস্ব পরিচালকদের দ্বারা নির্মান করা এসব মিউজিক ভিডিওতে অশ্লীল গানের পাশাপাশি জুড়ে দেওয়া হচ্ছে জনপ্রিয় বিভিন্ন গান।
জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা বা ঢাকার বাইরে অন্তত শতাধিক প্রতিষ্ঠান এসব মিউজিক ভিডিও নির্মানে ব্যস্ত। কোন ধরনের মান নিয়ন্ত্রন ছাড়াই এসব ভিডিও নির্মান হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে দেশীয় সংস্কৃতিতে। শুধুমাত্র ২/৩ জন বন্ধু মিলে একটি ক্যামরা দিয়ে মিউজিক ভিডিওর নাম দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রার মেয়েদের এনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
গত রবিবার হিমছড়ি, ইনানী পয়েন্টে একটি অশ্লীর গানে যৌনতা প্রদর্শন করছিল এক মডেল। কাছে গিয়ে এ প্রতিবেদক ক্যামেরাম্যানের কাছে তার ও মডেলের নাম জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান। মডেলিং ছাড়াও যাত্রার এসব মেয়েদের দিয়ে ইনানী ও কক্সবাজারের হোটেলগুলোতে দেহ ব্যবসা করারও অভিযোগ রয়েছে। মডেলিং করার কারনে হোটেলগুলোতে তাদের চাহিদাও বেশি। এ কারনে সৈকতে বেড়েছে মডেলিং, চলছে বাধাহীন অশ্লীলতা।
স্বপরিবারে কক্সবাজার বেড়াতে আসা হাবিবুর রহমান বলেন, আমার সঙ্গে স্কুলপড়ুয়া ছেলে-মেয়ে আছে। গতকাল শুটিংয়ের কথা শুনে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে সেখানে যাই। কিন্তু সেখানে এমন দৃশ্য দেখতে হবে ভাবিনি। পরে পরিবার নিয়ে তাড়াতাড়ি অন্যদিকে চলে যাই।
স্থানীয়রা মনে করেন, এভাবে চলতে থাকলে ইনানী ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত শুটিং স্পট হিসেবে বিখ্যাত না হয়ে যৌনতা প্রদর্শনের স্থান হিসেবে পরিচিতি পাবে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে।