ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

সুবহানাল্লাহ, মহানবী (সা.) কে নিয়ে এ কি মন্তব্য মিসরীয় মন্ত্রীর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০১৬
  • ৩৩২ বার

মহানবী (সা.) কে নিয়ে এ কি মন্তব্য করেছেন মিসরের বিচারমন্ত্রী। তিনি মহানবীকেও গ্রেপ্তার করার কথা বলেছেন। মন্ত্রী আহেমদ আল-জেন্দের এ ধরনের অকল্পনীয় মন্তব্যে অনলাইনে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

আলজাজিরা জানায়, একটি বেসরকারি টিভির আলোচনা সভায় মন্ত্রী জেন্দকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সাংবাদিকদেরও তিনি গ্রেপ্তার করবেন কি না?

‘মহানবী (সা.) হলেও’ বলে ফেলেন জেন্দ। তবে এরপর দ্রুত নিজেকে সামলে নেন তিনি এবং বলেন, অপরাধ পাওয়া গেলে যে অবস্থানেই থাকুক কেন গ্রেপ্তার করা হবে না।

জেদ বলেন, বিচারকদেরও কারাবন্দি করা হয়। কোনো সাংবাদিক কিংবা

শিক্ষককে কারাবন্দি করার বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করব না, আমি অভিযুক্তকে কারাবন্দি করার কথা বলছি, আমি তাদের কোনো টাইটেল দিতে চাই না।

আরবিতে ‘ মহানবী নয়, আল-জেন্দের বিচার চাই’ নামে একটি হ্যাশট্যাগ এবং তার বক্তব্যের ভিডিও ব্যাপকভাবে শেয়ার হচ্ছে। জেন্দের পদত্যাগের জোর দাবিও উঠেছে।

মিসরে ইসলামী শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান আল-আজহার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, মহানবী (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য ভুলেও দেয়া যায় না।

চরম সমালোচনার মধ্যে জেন্দএকটি টেলিভিশন টক শোতে টেলিফোন করেন এবং দাবি করেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি।

‘আমি বলেছি যদি- যারা এই শব্দটির মানে জানেন তারা জানেন যে, এটি অনুমাননির্ভর কথা… এ মন্তব্যের কোনো মানে নেই- তা সত্ত্বেও আমি আমার খাঁটি ধর্মীয় অনুভূতি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অনুতাপ প্রকাশ করেছি।’

জেন্দ অভিযোগ করে বলেন, মুসলিম ব্রাদারহুড তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং মিসরীয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যম তাদের বিদ্বেষপ্রসূত প্রচারণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।

গত জানুয়ারিতে মিসরের কয়েক সেনা সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হলে জেন্দ বলেন, নিহত সেনাদের হত্যার প্রতিশোধে ৪ লাখ ব্রাদারহুড কর্মী খতম না করা পর্যন্ত তার বুকের আগুন নিভবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

সুবহানাল্লাহ, মহানবী (সা.) কে নিয়ে এ কি মন্তব্য মিসরীয় মন্ত্রীর

আপডেট টাইম : ১১:৪৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০১৬

মহানবী (সা.) কে নিয়ে এ কি মন্তব্য করেছেন মিসরের বিচারমন্ত্রী। তিনি মহানবীকেও গ্রেপ্তার করার কথা বলেছেন। মন্ত্রী আহেমদ আল-জেন্দের এ ধরনের অকল্পনীয় মন্তব্যে অনলাইনে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

আলজাজিরা জানায়, একটি বেসরকারি টিভির আলোচনা সভায় মন্ত্রী জেন্দকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সাংবাদিকদেরও তিনি গ্রেপ্তার করবেন কি না?

‘মহানবী (সা.) হলেও’ বলে ফেলেন জেন্দ। তবে এরপর দ্রুত নিজেকে সামলে নেন তিনি এবং বলেন, অপরাধ পাওয়া গেলে যে অবস্থানেই থাকুক কেন গ্রেপ্তার করা হবে না।

জেদ বলেন, বিচারকদেরও কারাবন্দি করা হয়। কোনো সাংবাদিক কিংবা

শিক্ষককে কারাবন্দি করার বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করব না, আমি অভিযুক্তকে কারাবন্দি করার কথা বলছি, আমি তাদের কোনো টাইটেল দিতে চাই না।

আরবিতে ‘ মহানবী নয়, আল-জেন্দের বিচার চাই’ নামে একটি হ্যাশট্যাগ এবং তার বক্তব্যের ভিডিও ব্যাপকভাবে শেয়ার হচ্ছে। জেন্দের পদত্যাগের জোর দাবিও উঠেছে।

মিসরে ইসলামী শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান আল-আজহার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, মহানবী (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য ভুলেও দেয়া যায় না।

চরম সমালোচনার মধ্যে জেন্দএকটি টেলিভিশন টক শোতে টেলিফোন করেন এবং দাবি করেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি।

‘আমি বলেছি যদি- যারা এই শব্দটির মানে জানেন তারা জানেন যে, এটি অনুমাননির্ভর কথা… এ মন্তব্যের কোনো মানে নেই- তা সত্ত্বেও আমি আমার খাঁটি ধর্মীয় অনুভূতি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অনুতাপ প্রকাশ করেছি।’

জেন্দ অভিযোগ করে বলেন, মুসলিম ব্রাদারহুড তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং মিসরীয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যম তাদের বিদ্বেষপ্রসূত প্রচারণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।

গত জানুয়ারিতে মিসরের কয়েক সেনা সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হলে জেন্দ বলেন, নিহত সেনাদের হত্যার প্রতিশোধে ৪ লাখ ব্রাদারহুড কর্মী খতম না করা পর্যন্ত তার বুকের আগুন নিভবে না।