বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার মিজ্ এলিসন ব্লেক বলেছেন, যুক্তরাজ্যে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি জনগণ বসবাস করছেন। এছাড়া উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য এদেশ থেকে বহুসংখ্যক শিক্ষার্থী প্রতিনিয়ত বৃটেনে গমন করছেন।
বুধবার জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সংসদের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে এসব কথা বলেন মিজ্ এলিসন ব্লেক।
তিনি বলেন, অতীত থেকে বাংলাদেশি জনগণ যুক্তরাজ্যে বসবাস করায় তারা বৃটেনের সংস্কৃতি ও রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরেছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি প্রতিনিধির উল্লেখ করে মিজ্ এলিসন ব্লেক বলেন, তারা বৃটিশ রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সাক্ষাৎকালে তারা দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কসহ আসন্ন সিপিএ সম্মেলন, সিপিএ ইয়ুথ রোড-শো, নারী শিক্ষা, জেন্ডার সমতা, নারী ক্ষমতায়ন, বাল্য বিবাহ, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, দ্বিপাক্ষীক বাণিজ্য, বৃটেনে বসবাসরত বাংলাদেশি জনগণের অবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে মত বিনিময় করেন।
এসময় শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারী শিক্ষা, জেন্ডার সমতা ও নারী ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার বিশেষগুরুত্ব প্রদান করায় এক্ষেত্রে অনেক সাফল্য অর্জিত হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। তিনি বলেন, বাল্য বিবাহ রোধে গ্রাম-গঞ্জেও ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।
নারী শিক্ষা কার্যক্রম বাংলাদেশে যেভাবে এগিয়ে চলছে, তাতে শিগগিরই এদেশ বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পিকার।
তিনি আরো বলেন, গত ২ মার্চ কমনওয়েলথ দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘সিপিএ রোড-শো অন পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এটি কমনওয়েলথের বিভিন্ন অঞ্চলের দেশ সমূহে চলবে।
স্পিকার বলেন, সম্প্রতি তার ভারত সফরের সময় দেশের তরুণ সমাজকে সংসদীয় গণতন্ত্র সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষ্যে পরিচালিত এই কর্মসূচি ভারতের লোকসভা ও সরকার প্রধান কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে।
হাই কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক ঐতিহাসিক। তিনি অর্থনীতি, সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রে এসম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।