বিশ্বকাপের শুরুতে প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস এবং কন্ডিশন

দু’দিন আগে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে সোমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে ধর্মশালা পৌঁছেছে বাংলাদেশ। একদিন পর আগামীকাল মূল পর্বে ওঠার লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসের মোকাবেলা করবে টাইগাররা। বিকাল সাড়ে তিনটায় হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দল দুটি। তবে ডাচদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ভ্রমণ ক্লান্তি, অপরিচিত কন্ডিশন ও বৈরি আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে টাইগারদের।

হিমাচল প্রদেশে অধিকাংশ সময়ই প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থাকে। আর শীতের সময়তো তাপমাত্রা নেমে যায় হিমাঙ্কের অনেক নীচে। বর্তমানে দিনের বেলায় ১৮-২০ ডিগ্রী তাপমাত্রা থাকলেও রাতে তা নেমে যায় ১০-১২তে। এটা যেন অনেকটাই নেদারল্যান্ডসের কন্ডিশন। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ হিসাবে এ সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশেরই। তাই মাঠে খেলতে নামার আগে কিছুটা হলেও কাপালে ভাঁজ পড়েছে কোচ-অধিনায়কের।

ডাচদের বিপক্ষে ইতিহাসও ভালো নয় বাংলাদেশের। হেড টু হেড লড়াইয়ে দু’দলই সমানে সমান। ওয়ানডে সংস্করণে দুবার মোকাবেলা করেছে দল দুটি। এর মধ্যে দু’দল একটি করে ম্যাচ জিতেছে। একই ঘটনা টি-টোয়েন্টিতেও। ২০১২ সালে দুই ম্যাচ মোকাবেলা করে একটি করে ম্যাচ জিতেছে দুই দল। তাই সামর্থ্য ও শক্তির বিচারে যত পার্থক্যই থাকুক, ইতিহাস বলে সমান কথা।

তবে ইতিহাস যাই বলুক। বর্তমান বাংলাদেশ অনেক বদলে গেছে। ওয়ানডেতে বড় বড় দৈত্য বধের পর এখন মাশরাফিরা টি-টোয়েন্টিতেও অনেক ধারাবাহিক। সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছে। টি-টোয়েন্টি র্যংকিংয়ে শীর্ষে থাকা ভারতের বিপক্ষেও সমান তালে লড়ে হেরেছে। তাই সাম্প্রতিক সাফল্য ও শক্তির বিচারে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ।

তবে বাংলাদেশের শুভ সূচনার পথে সবচেয়ে বড় বাধা সেই ধর্মশালার কন্ডিশন। কারণ এ ধরণের পরিবেশ ও উইকেটে খেলে অভ্যস্ত নেদারল্যান্ডস। তার ওপর মাত্র একদিনের পরিচয়ে মাঠে নামা। খেলা হয়নি কোন প্রস্তুতি ম্যাচ। তবে সকল ঘারতি পুষিয়ে নিতে মঙ্গলবার একটু বাড়তি অনুশীলন করে নিলেন মাশরাফি-সাকিবরা। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা অনুশীলন করেছেন টাইগাররা। ধর্মশালার মাঠতি আবার অনেক উঁচুতে অবস্থিত।

এদিকে ধর্মশালার কন্ডিশনে চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারেন যে খেলোয়াড় তাকে নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। এশিয়া কাপের মাঝপথের ইনজুরিতে পড়েছিলেন বাংলাদেশ দলের নতুন পেস সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমান। তা থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠেননি তিনি। তবে তার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ। তবে চাবিকাঠি ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ ও পেসার আল-আমিনও। এশিয়াকাপে দারুণ ছন্দে ছিলেন এ দুই বোলার।

প্রতিপক্ষ যত শক্তিশালী হোক, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ বুক চেতিয়ে লড়েছে। কন্ডিশনকে জয় করতে পারলে আগামীকালও একটি দারুণ লড়াই হবে বলে আশা করছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর