ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শসা ভেজানো পানির অবিশ্বাস্য স্বাস্থ্যগুণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১
  • ১৯০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গরমে শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি। এটি শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া বিভিন্ন ত্রগ থেকেও দূরে রাখে। তবে জানলে অবাক হবেন যে, কেবল শসাই নয়, শসা ভেজানো পানি খাওয়ারও রয়েছে আশ্চর্য উপকারিতা।

চাক চাক করে কাটা শসা পানিতে ভিজিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে শসা ভেজানো পানি। শসা ভেজানো এই পানির রয়েছে ভিন্ন স্বাদ। তাছাড়াও এর আছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্যগুণও। বলা চলে, এমন স্বাস্থ্যকর পানীয় খুব কমই আছে। চলুন এবার শসাপানির স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-

দূষণ প্রতিরোধ

শসাপানি খাওয়া মানে ব্যাপক পুষ্টিকর পানি পান করা। আর এই পানি মূত্রের মাধ্যমে দেহ থেকে দূষিত উপাদান বের করে দেয়। ফলে বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।

ত্বক

শসায় আছে বেশ কয়েক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা দেহের দূষিত উপাদানগুলোকে বিতাড়িত করে। এতে বলিরেখা, ব্রণ, র‌্যাশ ইত্যাদি দূর হয়। ত্বক টান টান থাকে। শসাপানি ত্বকে কেবল ব্রণই ঠেকায় না, ব্রণের দাগও দূর করে।

ক্যান্সার

শসায় এক অনন্য উপাদান আছে, যার নাম কিউকারবিটাসিন। এটি দেহের এক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ জানিয়েছে, শসা ও স্ট্রবেরি প্রস্টেট ক্যান্সার বাড়তে দেয় না।

পেশি গঠন

শসার সিলিকা এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। এটি এমন এক খনিজ, যা আলোচনায় কম আসে। মানবদেহের স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় সিলিকা অতি জরুরি। দেহের কানেকটিভ টিস্যুর যত্ন নেয় এটি। কাজেই পেশি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যায়।

হৃদযন্ত্র

দেহে পটাসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধিতে শসাপানি অনন্য। এটা সার্বিক স্বাস্থ্য অবস্থার ইলেকট্রোলাইট হিসেবে কাজ করে। পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করে। এটি অ্যাথেরোসক্লেরোসিস, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও করোনারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমায়।

হাড়ের ঘনত্ব

অনেক ধরনের খনিজ থাকলেও শসাপানির সিলিকা ও ম্যাঙ্গানিজের কথা না বললেই নয়। শিশুদের হাড় গঠনে এসব উপাদান দারুণ কাজের। হাড় শক্ত করে এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। যারা ছোটবেলা থেকেই শসাপানি খাবে, বয়সকালে তাদের একেবারেই অস্টেয়পোরোসিসের ঝুঁকি থাকে না।

ওজন

এমনিতেই দেহে পর্যাপ্ত পানি দরকার। আর এর অভাব পূরণের জন্য শসা দারুণ এক সবজি। আবার শসায় ক্ষুধাও মেটে। শসা ভেজানো পানি সাধারণ পানির মতো হলেও এতে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তিন বেলা খাবার গ্রহণের আগে শসাপানি খেলে বাড়তি খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শসা ভেজানো পানির অবিশ্বাস্য স্বাস্থ্যগুণ

আপডেট টাইম : ০৭:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গরমে শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি। এটি শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া বিভিন্ন ত্রগ থেকেও দূরে রাখে। তবে জানলে অবাক হবেন যে, কেবল শসাই নয়, শসা ভেজানো পানি খাওয়ারও রয়েছে আশ্চর্য উপকারিতা।

চাক চাক করে কাটা শসা পানিতে ভিজিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে শসা ভেজানো পানি। শসা ভেজানো এই পানির রয়েছে ভিন্ন স্বাদ। তাছাড়াও এর আছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্যগুণও। বলা চলে, এমন স্বাস্থ্যকর পানীয় খুব কমই আছে। চলুন এবার শসাপানির স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-

দূষণ প্রতিরোধ

শসাপানি খাওয়া মানে ব্যাপক পুষ্টিকর পানি পান করা। আর এই পানি মূত্রের মাধ্যমে দেহ থেকে দূষিত উপাদান বের করে দেয়। ফলে বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।

ত্বক

শসায় আছে বেশ কয়েক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা দেহের দূষিত উপাদানগুলোকে বিতাড়িত করে। এতে বলিরেখা, ব্রণ, র‌্যাশ ইত্যাদি দূর হয়। ত্বক টান টান থাকে। শসাপানি ত্বকে কেবল ব্রণই ঠেকায় না, ব্রণের দাগও দূর করে।

ক্যান্সার

শসায় এক অনন্য উপাদান আছে, যার নাম কিউকারবিটাসিন। এটি দেহের এক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ জানিয়েছে, শসা ও স্ট্রবেরি প্রস্টেট ক্যান্সার বাড়তে দেয় না।

পেশি গঠন

শসার সিলিকা এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। এটি এমন এক খনিজ, যা আলোচনায় কম আসে। মানবদেহের স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় সিলিকা অতি জরুরি। দেহের কানেকটিভ টিস্যুর যত্ন নেয় এটি। কাজেই পেশি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যায়।

হৃদযন্ত্র

দেহে পটাসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধিতে শসাপানি অনন্য। এটা সার্বিক স্বাস্থ্য অবস্থার ইলেকট্রোলাইট হিসেবে কাজ করে। পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করে। এটি অ্যাথেরোসক্লেরোসিস, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও করোনারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমায়।

হাড়ের ঘনত্ব

অনেক ধরনের খনিজ থাকলেও শসাপানির সিলিকা ও ম্যাঙ্গানিজের কথা না বললেই নয়। শিশুদের হাড় গঠনে এসব উপাদান দারুণ কাজের। হাড় শক্ত করে এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। যারা ছোটবেলা থেকেই শসাপানি খাবে, বয়সকালে তাদের একেবারেই অস্টেয়পোরোসিসের ঝুঁকি থাকে না।

ওজন

এমনিতেই দেহে পর্যাপ্ত পানি দরকার। আর এর অভাব পূরণের জন্য শসা দারুণ এক সবজি। আবার শসায় ক্ষুধাও মেটে। শসা ভেজানো পানি সাধারণ পানির মতো হলেও এতে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তিন বেলা খাবার গ্রহণের আগে শসাপানি খেলে বাড়তি খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।