হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুঘল আমলে তৈরি ঐতিহাসিক মসজিদটি সংরক্ষণের অভাবে আজ ভগ্নদশায় পরিণত। সোয়া দুইশ বছরের প্রাচীন এ নিদর্শনটিকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় রক্ষা করা গেলে অঞ্চলটি পর্যটক আকর্ষণের পাশাপাশি ইতিহাসসমৃদ্ধ হতে পারে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এ থেকে উপকৃত হবে বলে স্থানীয়রা মনে করেন। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের দারিয়া হলাইজানা (তেলীপাড়া) গ্রামে মসজিদটি অবস্থিত।
নবাবগঞ্জ থেকে ১৫ কিলোমিটার পুবে করতোয়ার পশ্চিম তীরে দারিয়া গ্রামে অবস্থিত হওয়ায় একে অনেকে ‘দারিয়া মসজিদ’ও বলেন। ভগ্নদশার কারণে নামাজ আদায় করা হয় না। তবে বর্তমানে মসজিদের সামনের মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ২২ ফুট, প্রস্থ ১২ ফুট। ভিতরে প্রস্থ ৮ ফুট। পুব দিকে তিনটি দরজা ও ওপরে গোলাকার ছোট তিনটি গম্বুজ রয়েছে। ভিতরে তিনটি মিহরাব। মাঝেরটি তুলনায় বড়। গম্বুজগুলো বর্তমানে অযতœ অবহেলায় আগাছাপূর্ণ। চার কোণে রয়েছে চারটি কর্নার মিনার। পুব দিকের দেয়াল অলঙ্কৃত। বেশির ভাগই পোড়ামাটির ফলক দ্বারা খচিত। মসজিদের পাশে বাঁধাই করা একটি প্রাচীন কবর রয়েছে। অনুমান করা হয় মসজিদটি যিনি নির্মাণ করেছিলেন কবরটি তারই।
স্থাপনাটির কোনো নির্দেশক শিলালিপি পাওয়া না গেলেও কাহারোল উপজেলার নয়াবাদ মসজিদের সঙ্গে এর গঠনরীতির মিল রয়েছে, যা সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের রাজত্বকালে ১৭৯৩ সালে নির্মিত। তাই এ মসজিদটিও মুঘল আমলের শেষ দিকে নির্মিত বলে ধারণা করা হয়। মসজিদের দেয়ালে ফুল ও লতাপাতার ছবিও রয়েছে। তবে মসজিদের বাইরে ভিতরে ইটের গাঁথুনি নষ্ট হতে চলেছে। ওপরে আগাছায় ভরে গেছে।
বলতে গেলে মসজিদটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। স্থানীয় সানাউল্লাহ জানান, বহু বছর ধরেই আজান ও নামাজ হয় না। বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি।