ঢাকা ০৬:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরগি না হাঁস, কোনটির ডিমে পুষ্টি বেশি?

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
  • ১৬০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দারুণ পুষ্টিকর একটি খাবার হচ্ছে ডিম। সকালের নাস্তায় ডিম খেতে পছন্দ করেন কমবেশি সবাই। ডিম ছোট-বড় উভয়ের জন্যই উপকারী। তবে হাঁস নাকি মুরগি, কোনটির ডিমে বেশি পুষ্টি তা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় পড়েন।

যদিও অনেকের ধারণা হাঁসের ডিমের চেয়ে মুরগির ডিম ভালো। কিন্তু পুষ্টিগুণ বিবেচনায় হাঁস ও মুরগির ডিম প্রায় একই মানের। মুরগির ডিম খেলে বেশি উপকার এবং মুরগির ডিমই ভালো, এমন ধারণা ঠিক নয়। তবে হাঁস ও মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ বিচারে সামান্য কিছু পার্থক্য রয়েছে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক হাঁস ও মুরগির ডিমের তুলনামূলক পার্থক্যগুলো-

পুষ্টিবিদদের মতে, মুরগির ডিমের চেয়ে হাঁসের ডিমে পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে। ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে ১৮৫ কিলো ক্যালোরি থাকে আর ১০০ গ্রাম  মুরগির ডিমে থাকে ১৪৯ কিলো ক্যালোরি।

১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে থাকে ১৮১ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি এবং ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে থাকে ১৭৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি।

মুরগির ডিমে ফ্যাট থাকে ১৩.৩ গ্রাম, হাঁসের ডিমে ফ্যাট থাকে ১৩.৭০ গ্রাম।

১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় ৭০ মিলিগ্রাম আর ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে ক্যালসিয়াম থাকে ৬০ মিলিগ্রাম।

১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে লোহা থাকে ৩ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন এ থাকে ২৬৯ মাইক্রোগ্রাম আর ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে লোহা থাকে ২.১ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিনে থাকে ২৯৯ মাইক্রোগ্রাম।

১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ থাকে ৮৮৪ মিলিগ্রাম আর ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ থাকে ৪২৫ মিলিগ্রাম।

হাঁসের ডিমে মনোস্যাচুরেটেড মুরগির ডিম থেকে ৫০ শতাংশ বেশি থাকে।

হাঁসের ডিম মুরগির ডিম থেকে ৫০ শতাংশ বড় হওয়ায় তাই ফ্যাট ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে।

১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে ৩.৬৮ গ্রাম এবং ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে থাকে ৩.১ গ্রাম।

হাঁসের ডিমের বাইরের অংশ শক্ত হয় তাই তাড়াতাড়ি ভাঙ্গে না এবং অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।

১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে ১৩.৫ গ্রাম আর ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে ১৩.৩ গ্রাম।

দস্তা, ক্যালসিয়াম, তামা, কার্বহাইড্রেট ,মিনারেল, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, আয়রণ, ম্যাঙ্গানিজ হাঁসের ডিমে বেশি পরিমাণে থাকে।

তবে সাধারণভাবে বলা যেতে পারে, হাঁস ও মুরগির ডিম উভয়ই সমান পুষ্টিসম্পন্ন ।

জেনে রাখা জরুরি

>> হাঁসের ডিমে থাকা কোলিন লিভারকে কোলেস্টেরল থেকে বাঁচায়।

>> যাদের মুরগির ডিমে এলার্জি আছে তারা হাঁসের ডিম খেতে পারেন।

>> হাই প্রোটিন ডায়েট মেনে চললে নিয়মিত হাঁসের ডিমের সাদা অংশ খান।

>> হাঁসের ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি ১২। যা হার্টের সমস্যা ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরগি না হাঁস, কোনটির ডিমে পুষ্টি বেশি?

আপডেট টাইম : ০৪:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দারুণ পুষ্টিকর একটি খাবার হচ্ছে ডিম। সকালের নাস্তায় ডিম খেতে পছন্দ করেন কমবেশি সবাই। ডিম ছোট-বড় উভয়ের জন্যই উপকারী। তবে হাঁস নাকি মুরগি, কোনটির ডিমে বেশি পুষ্টি তা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় পড়েন।

যদিও অনেকের ধারণা হাঁসের ডিমের চেয়ে মুরগির ডিম ভালো। কিন্তু পুষ্টিগুণ বিবেচনায় হাঁস ও মুরগির ডিম প্রায় একই মানের। মুরগির ডিম খেলে বেশি উপকার এবং মুরগির ডিমই ভালো, এমন ধারণা ঠিক নয়। তবে হাঁস ও মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ বিচারে সামান্য কিছু পার্থক্য রয়েছে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক হাঁস ও মুরগির ডিমের তুলনামূলক পার্থক্যগুলো-

পুষ্টিবিদদের মতে, মুরগির ডিমের চেয়ে হাঁসের ডিমে পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে। ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে ১৮৫ কিলো ক্যালোরি থাকে আর ১০০ গ্রাম  মুরগির ডিমে থাকে ১৪৯ কিলো ক্যালোরি।

১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে থাকে ১৮১ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি এবং ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে থাকে ১৭৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি।

মুরগির ডিমে ফ্যাট থাকে ১৩.৩ গ্রাম, হাঁসের ডিমে ফ্যাট থাকে ১৩.৭০ গ্রাম।

১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় ৭০ মিলিগ্রাম আর ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে ক্যালসিয়াম থাকে ৬০ মিলিগ্রাম।

১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে লোহা থাকে ৩ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন এ থাকে ২৬৯ মাইক্রোগ্রাম আর ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে লোহা থাকে ২.১ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিনে থাকে ২৯৯ মাইক্রোগ্রাম।

১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ থাকে ৮৮৪ মিলিগ্রাম আর ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ থাকে ৪২৫ মিলিগ্রাম।

হাঁসের ডিমে মনোস্যাচুরেটেড মুরগির ডিম থেকে ৫০ শতাংশ বেশি থাকে।

হাঁসের ডিম মুরগির ডিম থেকে ৫০ শতাংশ বড় হওয়ায় তাই ফ্যাট ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে।

১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে ৩.৬৮ গ্রাম এবং ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে থাকে ৩.১ গ্রাম।

হাঁসের ডিমের বাইরের অংশ শক্ত হয় তাই তাড়াতাড়ি ভাঙ্গে না এবং অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।

১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে ১৩.৫ গ্রাম আর ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে ১৩.৩ গ্রাম।

দস্তা, ক্যালসিয়াম, তামা, কার্বহাইড্রেট ,মিনারেল, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, আয়রণ, ম্যাঙ্গানিজ হাঁসের ডিমে বেশি পরিমাণে থাকে।

তবে সাধারণভাবে বলা যেতে পারে, হাঁস ও মুরগির ডিম উভয়ই সমান পুষ্টিসম্পন্ন ।

জেনে রাখা জরুরি

>> হাঁসের ডিমে থাকা কোলিন লিভারকে কোলেস্টেরল থেকে বাঁচায়।

>> যাদের মুরগির ডিমে এলার্জি আছে তারা হাঁসের ডিম খেতে পারেন।

>> হাই প্রোটিন ডায়েট মেনে চললে নিয়মিত হাঁসের ডিমের সাদা অংশ খান।

>> হাঁসের ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি ১২। যা হার্টের সমস্যা ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।