ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহামারী করোনা ভাইরাস প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
  • ১৮৭ বার
ড. গোলসান আরা বেগমঃ করোনা মহামারী থেকে নিরাপদ থাকার প্রয়োজনে গত ২৫মার্চ ২০২০ হতে অদ্যাবধি ঢাকায় গৃহবন্দি জীবন যাপন করছি। আরো কত দিন এ ভারে ঘরে আবদ্ধ থাকতে হবে জানি না। এক মিনিটের জন্যও বাড়ীর গেইট অতিক্রম করতে পারি নাই, পারিবারিক বিধি নিষেধের কারনে। প্রশ্ন হলো- কর্ম প্রেমি, লেখক, সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দ্রষ্টা মানুষটি বাসায় তালাবদ্ধ অবস্থায় কি ভাবে বেঁচে আছি ?
কেউ হয়তো বা বিশ্বাস করবেন না, তারপরও বলছি সকাল গড়িয়ে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচন্ড ব্যস্ত সময় পাড় করছি। শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ব্যায়াম, স্বাস্থ্য চর্চা করতে হয়।হাত ধুয়া, গরম পানি দিয়ে গারগেল করা, বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরী লাল চা খাওয়া,পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, নিরাপদ দুরত্বে থাকা, বিষন্নতা মুক্ত থাকা, জনসমাবেশে না যাওয়া ইত্যাদি প্রক্রিয়া মেনে চলছি।
আমি লেখক বলে কবিতা লিখি ও ফেইজবুকে পোষ্ট দেই, অন লাইনে কবিতা আবৃতি, টকশোর মজার মজার তথ্য মস্তিষ্কে তুলে নেই্। কারো কারো মিথ্যাচার ,করোনাকে নিয়ে রংবাজী করা দেখে মনে মনে হাসি। নিজেও  টকশো তে অংশ গ্রহন করে মহামারীর ভয়াবহতা তুলে ধরার পক্ষে বক্তব্য রাখি।করোনায় আক্রান্ত সর্বশেষ পরিস্থিতি জানার জন্য টেলিভিশানে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাখি চোখ।নানা ধরনের ছবি আকিঁ ও পোষ্ট দিয়ে ফেইজ বুক বন্ধুদের রাখি চাঙ্গা। ইউ টিউবে, অনলাইনে চোখ বুলিয়ে বিশ্ব ও স্থানীয় রাজনীতির হালচাল  বুঝার চেষ্টা করি। যা লিখি তা কম্পিউটারে কম্পোজ ও পোষ্ট দেয়ার কাজটিও নিজেই করি। মাঝে মাঝে ভার্চুয়াল মিটিংএ ও অংশ গ্রহন করতে হয়। টেলিফোনে কতা বলাও এড়িয়ে যেতে পারি না। ফেইজ বুকে কে কি কমেন্ট করছে বা কি নটিফিকেশান আসছে তাও একটু পর পর দেখায় থাকি ব্যস্ত। রান্না ঘরের মেনু, বাজারের ফর্দ, আত্মীয় স্বজনের খোঁজ খবর, কে কোথায় করোনায় আক্রান্ত হলো বা মারা গেলো  ইত্যাদি বহুবিদ কাজের জিলাপি প্যাচে হাটছি সারাদিন।
নিজে বা পরিবারের অন্য সদস্যরা কখন বা কি ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাই সে আতংকে নির্ঘুমে রাত পার করছি। মহান সৃষ্টি কর্তার কাছে কোভিড-১৯ এর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ক্ষমা চাইছি ও প্রার্থনা করছি। দেশের বাইরে যারা আছে তাদের সাথেও মনের দুঃখ কষ্ট করছি চালাচালি। মাঝে মাঝে বাসার ছাদে গিয়ে সূর্য স্নান করে শরীরের বোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করি। এতসব কাজের বেড়াজালে জড়িয়ে ,আলোঝলমল এসি রুমে বসে কখন সূর্য ওঠে ও লালিমা ছড়িয়ে পশ্চিমে হারিয়ে যায় তা দেখার সময় কোথায় ? ঝম ঝম করে বৃষ্টি হলে বা ঝড়ো বাতাস বইলে , তার সাড়া শব্দ কানে পৌঁছার সুযোগ কৈ ?
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বসে ইউটিউব চ্যানেলে সরকারকে বাঁশ দেয়ার জন্য উগ্রপন্থীরা কি বলছে তাও উদ্ধার করি চোখ খুলে। উপভোগ করি টকশোর ধূলিবালি উড়ানো তর্কের ঝড়। বর্তমান সরকার ষোল কোটি মানুষকে সেবা দিতে গিয়ে কি ভাবে শ্রম ঘাম ব্যয় করছে ও হিমশিম খাচ্ছে তাও উপলদ্ধি করছি। তারপরও সমালোচকরা বিভ্যান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। নানা কথার অযৌক্তিক তীর ধনুক নিক্ষেপ করছে সরকারের দিকে। নিজেরা বড় বড় বুলি কপচালেও  সচেতনতা সৃস্টি করার কাজে তৃণমূল র্পযায়ের মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে না। কথায় নয় আসুন আমরা কাজে বড় হই।
করোনার ভয়ে আতঙ্কিত আমি চাই- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কতৃক র্নিদেশিত বিধি বিধান মেনে বাংলাদেশের জনগন নিরাপদ জীবন যাপন করুক।ঘরে থাকুক, নিরাপদ দুরত্বে, গণসমাবেশ এড়িয়ে চলুক। অন্যথায় মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এমন হবে , যে লাশ গোড় কাফন করার লোকও বেঁচে থাকবে না।আসুন সময় থাকতে নিজেরা সচেতন হই, অপরকে সচেতন করি ও মানব সভ্যতাকে  রক্ষা করি।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যের হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ৮ জুলাই ২০২১ এর রির্পোট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় ২০১ জন মৃত্যু বরণ করেছে সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে। টাঙ্গাইলে আক্রান্তের হার বেশী,কুষ্টিয়াকে হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে(৮ জুলাই ২০২১,দৈনিক প্রথম আলো)। মানুষ ভয় আতংকে নির্ঘুমে রাত পার করছে। হাস পাতালে রুগীর চাপ বাড়ছে। প্রায় হাসপাতালের ক্ষেত্রেই অক্সিজেন স্বল্পতা,আইসিইউ বেডের সংকট দেখা দিচ্ছে। আজকাল গ্রামে গঞ্জেও করোনা নামক ছোঁয়াছে ব্যধিটি ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষকে ঘরে থাকার জন্য ১ জুলাই ২০২১ এ ১৪ দিনের লক ডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউনকে কার্যকর ও বাস্তবতা দেয়ার জন্য সেনা বাহিনীসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের দায়িত্ব দিয়েছে। যারা বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হচ্ছে বা গাড়ী নামাচ্ছে তাদের জেল জরিমানা করা হচ্ছে।তারপরও মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে না।
মানুষের সুখের জীবনটা অনিশ্চিত সূঁইয়ের ডগায় দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। প্রথম দফায় দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন দেয়ার পর গতকাল থেকে পুনরায় গণ হারে মানব দেহে ভ্যাকসিন পুশ করার কাজ শুরু হচ্ছে। জানি না আমাদের সামনে কোন যমদুত দাড়িয়ে আছে। প্রতিদিন গভীর আতংক মাথায় নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি ও ধরফর করতে করতে জেগে ওঠি। ক্ষুদ্র অনুজীব করোনা মানব সভ্যতাকে কোন গর্তে টেনে নিবে বা নিচ্ছে তাও বুঝতে পারছি না । তারপরও বেঁচে থাকার প্রত্যাশায় সর্তক থাকতে চেষ্টা করি ও প্রহর গুনি।
লেখক: কবি, উপদেষ্টা মদস্য-বাংলাদেশ কৃষকলীগ, সিনেট সদস্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। 
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মহামারী করোনা ভাইরাস প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ১০:০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
ড. গোলসান আরা বেগমঃ করোনা মহামারী থেকে নিরাপদ থাকার প্রয়োজনে গত ২৫মার্চ ২০২০ হতে অদ্যাবধি ঢাকায় গৃহবন্দি জীবন যাপন করছি। আরো কত দিন এ ভারে ঘরে আবদ্ধ থাকতে হবে জানি না। এক মিনিটের জন্যও বাড়ীর গেইট অতিক্রম করতে পারি নাই, পারিবারিক বিধি নিষেধের কারনে। প্রশ্ন হলো- কর্ম প্রেমি, লেখক, সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দ্রষ্টা মানুষটি বাসায় তালাবদ্ধ অবস্থায় কি ভাবে বেঁচে আছি ?
কেউ হয়তো বা বিশ্বাস করবেন না, তারপরও বলছি সকাল গড়িয়ে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচন্ড ব্যস্ত সময় পাড় করছি। শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ব্যায়াম, স্বাস্থ্য চর্চা করতে হয়।হাত ধুয়া, গরম পানি দিয়ে গারগেল করা, বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরী লাল চা খাওয়া,পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, নিরাপদ দুরত্বে থাকা, বিষন্নতা মুক্ত থাকা, জনসমাবেশে না যাওয়া ইত্যাদি প্রক্রিয়া মেনে চলছি।
আমি লেখক বলে কবিতা লিখি ও ফেইজবুকে পোষ্ট দেই, অন লাইনে কবিতা আবৃতি, টকশোর মজার মজার তথ্য মস্তিষ্কে তুলে নেই্। কারো কারো মিথ্যাচার ,করোনাকে নিয়ে রংবাজী করা দেখে মনে মনে হাসি। নিজেও  টকশো তে অংশ গ্রহন করে মহামারীর ভয়াবহতা তুলে ধরার পক্ষে বক্তব্য রাখি।করোনায় আক্রান্ত সর্বশেষ পরিস্থিতি জানার জন্য টেলিভিশানে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাখি চোখ।নানা ধরনের ছবি আকিঁ ও পোষ্ট দিয়ে ফেইজ বুক বন্ধুদের রাখি চাঙ্গা। ইউ টিউবে, অনলাইনে চোখ বুলিয়ে বিশ্ব ও স্থানীয় রাজনীতির হালচাল  বুঝার চেষ্টা করি। যা লিখি তা কম্পিউটারে কম্পোজ ও পোষ্ট দেয়ার কাজটিও নিজেই করি। মাঝে মাঝে ভার্চুয়াল মিটিংএ ও অংশ গ্রহন করতে হয়। টেলিফোনে কতা বলাও এড়িয়ে যেতে পারি না। ফেইজ বুকে কে কি কমেন্ট করছে বা কি নটিফিকেশান আসছে তাও একটু পর পর দেখায় থাকি ব্যস্ত। রান্না ঘরের মেনু, বাজারের ফর্দ, আত্মীয় স্বজনের খোঁজ খবর, কে কোথায় করোনায় আক্রান্ত হলো বা মারা গেলো  ইত্যাদি বহুবিদ কাজের জিলাপি প্যাচে হাটছি সারাদিন।
নিজে বা পরিবারের অন্য সদস্যরা কখন বা কি ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাই সে আতংকে নির্ঘুমে রাত পার করছি। মহান সৃষ্টি কর্তার কাছে কোভিড-১৯ এর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ক্ষমা চাইছি ও প্রার্থনা করছি। দেশের বাইরে যারা আছে তাদের সাথেও মনের দুঃখ কষ্ট করছি চালাচালি। মাঝে মাঝে বাসার ছাদে গিয়ে সূর্য স্নান করে শরীরের বোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করি। এতসব কাজের বেড়াজালে জড়িয়ে ,আলোঝলমল এসি রুমে বসে কখন সূর্য ওঠে ও লালিমা ছড়িয়ে পশ্চিমে হারিয়ে যায় তা দেখার সময় কোথায় ? ঝম ঝম করে বৃষ্টি হলে বা ঝড়ো বাতাস বইলে , তার সাড়া শব্দ কানে পৌঁছার সুযোগ কৈ ?
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বসে ইউটিউব চ্যানেলে সরকারকে বাঁশ দেয়ার জন্য উগ্রপন্থীরা কি বলছে তাও উদ্ধার করি চোখ খুলে। উপভোগ করি টকশোর ধূলিবালি উড়ানো তর্কের ঝড়। বর্তমান সরকার ষোল কোটি মানুষকে সেবা দিতে গিয়ে কি ভাবে শ্রম ঘাম ব্যয় করছে ও হিমশিম খাচ্ছে তাও উপলদ্ধি করছি। তারপরও সমালোচকরা বিভ্যান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। নানা কথার অযৌক্তিক তীর ধনুক নিক্ষেপ করছে সরকারের দিকে। নিজেরা বড় বড় বুলি কপচালেও  সচেতনতা সৃস্টি করার কাজে তৃণমূল র্পযায়ের মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে না। কথায় নয় আসুন আমরা কাজে বড় হই।
করোনার ভয়ে আতঙ্কিত আমি চাই- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কতৃক র্নিদেশিত বিধি বিধান মেনে বাংলাদেশের জনগন নিরাপদ জীবন যাপন করুক।ঘরে থাকুক, নিরাপদ দুরত্বে, গণসমাবেশ এড়িয়ে চলুক। অন্যথায় মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এমন হবে , যে লাশ গোড় কাফন করার লোকও বেঁচে থাকবে না।আসুন সময় থাকতে নিজেরা সচেতন হই, অপরকে সচেতন করি ও মানব সভ্যতাকে  রক্ষা করি।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যের হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ৮ জুলাই ২০২১ এর রির্পোট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় ২০১ জন মৃত্যু বরণ করেছে সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে। টাঙ্গাইলে আক্রান্তের হার বেশী,কুষ্টিয়াকে হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে(৮ জুলাই ২০২১,দৈনিক প্রথম আলো)। মানুষ ভয় আতংকে নির্ঘুমে রাত পার করছে। হাস পাতালে রুগীর চাপ বাড়ছে। প্রায় হাসপাতালের ক্ষেত্রেই অক্সিজেন স্বল্পতা,আইসিইউ বেডের সংকট দেখা দিচ্ছে। আজকাল গ্রামে গঞ্জেও করোনা নামক ছোঁয়াছে ব্যধিটি ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষকে ঘরে থাকার জন্য ১ জুলাই ২০২১ এ ১৪ দিনের লক ডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউনকে কার্যকর ও বাস্তবতা দেয়ার জন্য সেনা বাহিনীসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের দায়িত্ব দিয়েছে। যারা বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হচ্ছে বা গাড়ী নামাচ্ছে তাদের জেল জরিমানা করা হচ্ছে।তারপরও মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে না।
মানুষের সুখের জীবনটা অনিশ্চিত সূঁইয়ের ডগায় দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। প্রথম দফায় দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন দেয়ার পর গতকাল থেকে পুনরায় গণ হারে মানব দেহে ভ্যাকসিন পুশ করার কাজ শুরু হচ্ছে। জানি না আমাদের সামনে কোন যমদুত দাড়িয়ে আছে। প্রতিদিন গভীর আতংক মাথায় নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি ও ধরফর করতে করতে জেগে ওঠি। ক্ষুদ্র অনুজীব করোনা মানব সভ্যতাকে কোন গর্তে টেনে নিবে বা নিচ্ছে তাও বুঝতে পারছি না । তারপরও বেঁচে থাকার প্রত্যাশায় সর্তক থাকতে চেষ্টা করি ও প্রহর গুনি।
লেখক: কবি, উপদেষ্টা মদস্য-বাংলাদেশ কৃষকলীগ, সিনেট সদস্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।