যুদ্ধাপরাধীদের যদি দোষ প্রমাণিত হয় তবে একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত মৃত্যুদণ্ড এমনই মত দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি।
তিনি বলেন, তাদের দণ্ড যাবজ্জীবন-আজীবন-আমরণ হতে পারে না। একমাত্র হতে হবে মৃত্যু।
বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ সব বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তাদের সন্তান-পরিবার তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে। তারা কোনো সরকারি চাকরি পাবে না এবং তাদের ভোটাধিকার থাকবে না।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি বলেও মত দেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী।
সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও বক্তব্য দেন- কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. রুহুল আমিন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১নং সেক্টরে দায়িত্ব পালনকারী সুবেদার আফতাব আলী বীর উত্তম, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মন্জু মন্ডল, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কাদের, রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, রাজিবপুর উপজেলার চেয়ারম্যান সফিউল আলম ও চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী বীর বিক্রম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ মুকুল প্রমুখ।
বক্তরা রৌমারী উপজেলাকে মুক্তাঞ্চল, জেলা ঘোষণার জোর দাবি জানান।
এর আগে মন্ত্রী উপজেলা শহরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এলাকায় ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ সময় কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কাদের, উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর কুমার বিশ্বাসসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।