হাওর বার্তা ডেস্কঃ কঠোর পরিশ্রম ও ইচ্ছা থাকলে কৃষিতেও সফলতা অর্জন করা সম্ভব। এমনটাই প্রমাণ করলেন হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার হাফিজপুর গ্রামের মামা-ভাগিনা মিলে। তারা হচ্ছেন মো. সাইফুল ইসলাম সাজল (মামা) ও মো. এনামুল হক এনাম।
কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে পেঁপে বিক্রি। মিশ্র ফসল চাষে ব্যবহার করা হয়েছে জৈব সার ও পোকা দমনে ইয়োলো কালার ট্র্যাপ। এতে দারুণ কাজে হয়েছে। মামা-ভাগিনার মিশ্র চাষ দেখে এলাকার চাষিরা উৎসাহিত হয়েছেন। তারাও এ পদ্ধতি গ্রহণ করে চাষ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। আলাপকালে এসব তথ্য জানান মামা-ভাগ্নে।
সাইফুল ইসলাম সাজল জানান, দুবাই ও ওমানে কয়েক বছর থেকে কাজ করেছেন। তেমন আয় করতে পারেননি। করোনার আগে দেশে আসেন। করোনা শুরু হওয়ায় আর প্রবাসে যাওয়া হয়নি। মুদি মালের দোকান দেন। এ ব্যবসার পাশাপাশি কৃষি কাজ করছেন। কিন্তু সফলতা আসছিল না।
অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন মিশ্র ফসল চাষ করার। সাথে যুক্ত করেন তার ভাগ্নে এনামকে। প্রতিবেশীর কাছ থেকে প্রায় ১ একর জমি লিজ নেন। কৃষি অফিসার থেকে পরামর্শ নিয়ে মিশ্র ফসল চাষ শুরু করেন। এফসল চাষে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা ২ থেকে ৩ লাখ টাকা আয়ের।
এলাকার চাষি তৌহিদ মিয়া বলেন, মিশ্র ফসল চাষে তারা মামা-ভাগিনা চমক দেখিয়েছেন। বিশেষ করে তারা বিষমুক্ত ফসল চাষ করছেন। আমার জমিতেও বারোমাসী ফসল চাষ করছি। করোনাকালে বাড়ি থেকে অন্য কোথায় তেমন একটা যাওয়া হচ্ছে না। এসময়টা কৃষিতে ব্যয় করে সফলতা পাচ্ছি।
দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, মনের ইচ্ছা আর শ্রম ও মেধা কাজে লাগালে সফলতা আসে। কারোনাকালে মিশ্র ফসল চাষ করে তার প্রমাণ দিলেন সাইফুল ইসলাম সাজল ও এনামুল হক এনাম। তারা কঠোর শ্রম দিচ্ছেন। আর আমি তাদের দিচ্ছি সুপরামর্শ। এ কারণে ক্ষেতে মিশ্র ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে তাদের উৎপাদিত ফসল। আশা করছি তারা লাভবান হবেন।