ঢাকা ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেভাবে কুরআনের হাফেজা হলেন ৯০ বছর বয়সী অন্ধ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১
  • ২৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বয়স ৯০ বছর, তার ওপর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তবুও দমে যাননি মিশরের এক নারী। রুহিয়া আরাফা মনসুর নামের ওই বৃদ্ধা দশরকম ভাবে কুরআন তিলাওয়াত সহকারে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেছেন।

শাইখা রুহিয়া আরাফা মনসুর ১৯৩১ সালে মিশরের আল-দুখলিয়া প্রদেশের মিত গামার প্রদেশের আতমিদেহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার বাবা তৎকালীন সময় একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন। বাবার পোস্টিং-এর কারণে সেদেশের আশ-শারকিয়া প্রদেশে বসবাস করতে শুরু করেন তারা।

সেখানকার স্বনামধন্য হাফেজ শাইখ আব্দুল গনি জুমার কাছে পবিত্র কুরআন শিক্ষাগ্রহণ করেন তিনি। কুরআনের এই শিক্ষকের সন্তানদের সঙ্গেই ওহীর বাণী শিখতে শুরু করেন।

এই ব্যাপারে মিশরের এই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজা বলেন, আমার বয়স যখন সাত বছর তখন আমি শেখ আবদুল গনির কাছে গিয়ে পবিত্র কোরআন হেফজ করতে শুরু করি এবং মাত্র দুই বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করি। আমার বাবার ইচ্ছা ছিল আমি দশ পন্থায় কুরআন তিলাওয়াতের শিক্ষা অর্জন করি। আর তার ইচ্ছা পূরণের জন্য আমি আরও ৫ বছর কুরআন তিলাওয়াতের ক্লাসে যাই।

তিনি আরও বলেন, শাইখ আবদুল গণি সর্বদা আমার সাথে তার মেয়ের মতো আচরণ করতেন। তার কাছে কুরআন তিলাওয়াত শেখার পর আমি আমার ২০ বছর বয়সে নিজ জন্মস্থানে ফিরে আসি এবং তখন থেকে আমি আমার আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে ৭০ বছর ধরে বসবাস করেছি।

হাফেজা রুহিয়া আরাফা মনসুর বলেন, আমার মাধ্যমে অনেক শিশু কুরআনের হাফেজ হয়েছেন এবং বিভিন্ন আরব দেশের শিক্ষার্থীদের কুরআন তিলাওয়াতের অনুমতিপত্র দিয়েছি। চলতি বছর শাইখা রুহিয়া ৯০ বছরে পা দিয়েছেন। এতো বয়স হওয়া সত্ত্বেও পবিত্র কুরআনের প্রতিটি আয়াত তার দৃঢ় মুখস্থ রয়েছে।

সূত্র : ইয়েনি শাফাক

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যেভাবে কুরআনের হাফেজা হলেন ৯০ বছর বয়সী অন্ধ

আপডেট টাইম : ০৮:২৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বয়স ৯০ বছর, তার ওপর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তবুও দমে যাননি মিশরের এক নারী। রুহিয়া আরাফা মনসুর নামের ওই বৃদ্ধা দশরকম ভাবে কুরআন তিলাওয়াত সহকারে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেছেন।

শাইখা রুহিয়া আরাফা মনসুর ১৯৩১ সালে মিশরের আল-দুখলিয়া প্রদেশের মিত গামার প্রদেশের আতমিদেহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার বাবা তৎকালীন সময় একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন। বাবার পোস্টিং-এর কারণে সেদেশের আশ-শারকিয়া প্রদেশে বসবাস করতে শুরু করেন তারা।

সেখানকার স্বনামধন্য হাফেজ শাইখ আব্দুল গনি জুমার কাছে পবিত্র কুরআন শিক্ষাগ্রহণ করেন তিনি। কুরআনের এই শিক্ষকের সন্তানদের সঙ্গেই ওহীর বাণী শিখতে শুরু করেন।

এই ব্যাপারে মিশরের এই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজা বলেন, আমার বয়স যখন সাত বছর তখন আমি শেখ আবদুল গনির কাছে গিয়ে পবিত্র কোরআন হেফজ করতে শুরু করি এবং মাত্র দুই বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করি। আমার বাবার ইচ্ছা ছিল আমি দশ পন্থায় কুরআন তিলাওয়াতের শিক্ষা অর্জন করি। আর তার ইচ্ছা পূরণের জন্য আমি আরও ৫ বছর কুরআন তিলাওয়াতের ক্লাসে যাই।

তিনি আরও বলেন, শাইখ আবদুল গণি সর্বদা আমার সাথে তার মেয়ের মতো আচরণ করতেন। তার কাছে কুরআন তিলাওয়াত শেখার পর আমি আমার ২০ বছর বয়সে নিজ জন্মস্থানে ফিরে আসি এবং তখন থেকে আমি আমার আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে ৭০ বছর ধরে বসবাস করেছি।

হাফেজা রুহিয়া আরাফা মনসুর বলেন, আমার মাধ্যমে অনেক শিশু কুরআনের হাফেজ হয়েছেন এবং বিভিন্ন আরব দেশের শিক্ষার্থীদের কুরআন তিলাওয়াতের অনুমতিপত্র দিয়েছি। চলতি বছর শাইখা রুহিয়া ৯০ বছরে পা দিয়েছেন। এতো বয়স হওয়া সত্ত্বেও পবিত্র কুরআনের প্রতিটি আয়াত তার দৃঢ় মুখস্থ রয়েছে।

সূত্র : ইয়েনি শাফাক