ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

দুই মণ আম বিক্রি করলে এক কেজি খাসির মাংস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১
  • ১৪২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিবগঞ্জে এক কেজি মাংস কিনতে বিক্রি করতে হচ্ছে প্রায় দুই মণ আম! সরেজমিনে মাংসের বাজার ঘুরে কসাই ও ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, গরুর এক কেজি মাংসের দাম ৬০০ টাকা, খাসির এক কেজি মাংসের দাম ৮০০ টাকা। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম কানসাট আমবাজারে বিক্রেতা ও ক্রেতারা জানিয়েছেন, ফজলি আমের দাম মাত্র ৪০০ টাকা মণ।

কানসাটের আমবিক্রেতা শেরপুর ভাণ্ডারের লাল্টু জানান, নিজ বাগানের এক ভ্যানে চার মণ ফজলি আম নিয়ে সকালে এসেছি। বেলা ৩টা পর্যন্ত আম বিক্রি করতে পারিনি। দাম চেয়েছি ৫৫০ টাকা মণ। ক্রেতা বলছে ৪০০ টাকা মণ।

নি আরও জানান, চার মণ আমের পাকা ওজন দিতে গিয়ে দিতে হচ্ছে পাঁচ মণ আট কেজি আম। অর্থাৎ, ৫২ কেজিতে মণ। তারপর আবার মহরিল (হিসাবকর্মী) নিচ্ছেন মণপ্রতি একটি, কয়েলি বাবদ নিচ্ছে মণপ্রতি একটি, আবার শ্রমিকেরা নিচ্ছে ভ্যানপ্রতি প্রায় দুই কেজি করে। সব মিলিয়ে চার মণ আমের পাকা ওজনে দিতে হচ্ছে পাঁচ মণ ১২ কেজি।

আম বিক্রেতা জেম আক্ষেপ করে বলেন, ‘হায় রে আম। যার দাম এতই কম যে বাজারে ফজলি আম দুই মণ বিক্রি করে বড়জোর এক কেজি খাসির মাংস কেনা যায়।’ শুধু জেম নন, জেলার হাজার হাজার আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের একই অবস্থা। কানসাট বাজার এলাকার প্রায় ৭৫ বছরের জনৈক মুরব্বি বলেন, ‘আমার জীবনে আমের এত বেহাল দশা কোনো দিন দেখিনি।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একসাথে সাকিব-তামিম

দুই মণ আম বিক্রি করলে এক কেজি খাসির মাংস

আপডেট টাইম : ০২:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিবগঞ্জে এক কেজি মাংস কিনতে বিক্রি করতে হচ্ছে প্রায় দুই মণ আম! সরেজমিনে মাংসের বাজার ঘুরে কসাই ও ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, গরুর এক কেজি মাংসের দাম ৬০০ টাকা, খাসির এক কেজি মাংসের দাম ৮০০ টাকা। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম কানসাট আমবাজারে বিক্রেতা ও ক্রেতারা জানিয়েছেন, ফজলি আমের দাম মাত্র ৪০০ টাকা মণ।

কানসাটের আমবিক্রেতা শেরপুর ভাণ্ডারের লাল্টু জানান, নিজ বাগানের এক ভ্যানে চার মণ ফজলি আম নিয়ে সকালে এসেছি। বেলা ৩টা পর্যন্ত আম বিক্রি করতে পারিনি। দাম চেয়েছি ৫৫০ টাকা মণ। ক্রেতা বলছে ৪০০ টাকা মণ।

নি আরও জানান, চার মণ আমের পাকা ওজন দিতে গিয়ে দিতে হচ্ছে পাঁচ মণ আট কেজি আম। অর্থাৎ, ৫২ কেজিতে মণ। তারপর আবার মহরিল (হিসাবকর্মী) নিচ্ছেন মণপ্রতি একটি, কয়েলি বাবদ নিচ্ছে মণপ্রতি একটি, আবার শ্রমিকেরা নিচ্ছে ভ্যানপ্রতি প্রায় দুই কেজি করে। সব মিলিয়ে চার মণ আমের পাকা ওজনে দিতে হচ্ছে পাঁচ মণ ১২ কেজি।

আম বিক্রেতা জেম আক্ষেপ করে বলেন, ‘হায় রে আম। যার দাম এতই কম যে বাজারে ফজলি আম দুই মণ বিক্রি করে বড়জোর এক কেজি খাসির মাংস কেনা যায়।’ শুধু জেম নন, জেলার হাজার হাজার আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের একই অবস্থা। কানসাট বাজার এলাকার প্রায় ৭৫ বছরের জনৈক মুরব্বি বলেন, ‘আমার জীবনে আমের এত বেহাল দশা কোনো দিন দেখিনি।’