হাওর বার্তা ডেস্কঃ লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীর কর্মস্থল ছেড়ে দেশের দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষের ঢল নেমেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে।
আজ রোববার সকাল থেকেই ঘাটে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তবে দুপুর ১২টার পর ঘাটে মানুষের চাপ হঠাৎ বেড়ে যায়।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সিএনজি, অটোরিকশা ও প্রাইভেটকার ভাড়া করে ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট থাকা সত্যেও মহাসড়ক দিয়ে ও বিভিন্ন পথ দিয়ে যাত্রী আসছেন শিমুলিয়া ঘাটে। শিমুলিয়া ঘাটের ভাঙ্গা চৌরাস্তায় এলাকা পুলিশের চেকপোস্ট ছোট যানবাহন আটকে দেওয়ায় প্রায় ১ কিলোমিটার পথ হেঁটে আসছেন যাত্রীরা। অনেক যাত্রী চেকপোস্ট এড়াতে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ হয়ে মুন্সীগঞ্জের মোক্তারপুর এলাকা থেকে যানবাহন আসছেন। জেলায় সিএনজি সহ ছোট যানবাহন চলায় অনায়াসে আসতে পারছেন যাত্রীরা এপথে। এতে তাদের বাড়তি ভাড়া দিতে গুনতে হচ্ছে। সিএনজির ১০০ টাকা ভাড়ার স্থলে জনপ্রতি ২০০/৩০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গের বরিশালগামী যাত্রী মো. জুম্মন জানান, কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন তিনি। ঢাকায় কাজে আসছিলেন। কঠোর লকডাউন যেতে পারবেন না আশঙ্কায় এখনই চলে যাচ্ছেন তারা।
শরিয়তপুরগামী যাত্রী মুছলিমা জানান, রোগী নিয়ে ঢাকায় আসছিলেন এখন কঠোর লকডাউনের খবরে বাড়ি ফিরছেন।
রিশালগামী যাত্রী আল-আমিন জানান, তিনি ঢাকাতে রেফ্রিজেরেটরে কাজ করেন। কাজের কারণে বরিশাল যাচ্ছেন। কাজ শেষে আবার ফিরতে হবে। লকডাউনের বিষয়ে তাদের অফিস কোন নির্দেশ দেননি বলে জানান তিনি।
বড়গুনাগামী যাত্রী সাঈদুর রহমান রাসেল জানান, অফিসের কাজে তিনি ঢাকাতে আসছিলেন। ছুটি শেষ হওয়ায় বড়গুনায় ফিরে যাচ্ছেন।
এদিকে পুলিশের চেকপোস্ট থাকা সত্যেও এতো যাত্রী ঘাটে আসছে এ ব্যপারে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লৌহজং সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান জানান, মহাসড়কসহ প্রতিটি স্থানে আমাদের চেকপোস্ট রয়েছে। অসুস্থ রোগী বা জরুরি সেবার যানবাহন ব্যতিত কোনও যানবাহন ছাড়া হচ্ছে না। যাত্রীরা চেকপোস্ট এড়িয়ে নানা পথে ঘাটে আসছেন। কোথাও কোথাও পায়ে হেঁটে আসছেন যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি(মাওয়া) ম্যানেজার সাফায়াত আরটিভি নিউজকে জানান, সকাল থেকে শিমুলিয়া যাত্রীর উপচে পড়া ভিড়। এরুটে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে সাড়ে ৪ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।