তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডে প্রবেশ করে ইন্টার্নিদের মারধর করেছে একদল বহিরাগত। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় বিক্ষুব্ধ ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভাঙচুর চালায় এবং জরুরী বিভাগসহ হাসপাতালের প্রবেশ পথগুলোতে বিকাল ৩টা থেকে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতির ডাক দেয়।
এরপর বিকেল সাড়ে ৫টায় বিএমএ ও স্বাচিপ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের বৈঠক শেষে জরুরী বিভাগের তালা খুলে দেয়া হয়। তিন ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগের বাইরে রোগী ও স্বজনদের ভিড় লেগে যায়। এদিকে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরাগুলো নষ্ট থাকার কারণে বহিরাগতদের চিহ্নিত করা যায়নি।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানায়, বেলা আড়াইটার দিকে ১৫/২০ জন বহিরাগত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩নং ওয়াডের্র ইন্টার্নদের কক্ষে ঢুকে টিস্যু নিয়ে আসে। এনিয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. লুৎফা বিনতে কবীর সেতুর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ডা. লুৎফাকে লাঞ্ছিত করতে চাইলে ডা. মাজহার ও ডা. তৌহিদ এগিয়ে এলে বহিরাগহতরা তাদের মারধর করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ইন্টার্নরা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন প্রবেশ পথে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং নিরাপত্তাসহ বহিরাগতদের শাস্তির দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে।
কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি কামরুল ইসলাম জানান, তুচ্ছ ঘটনায় বহিরাগতরা চিকিৎসকদের মারধর করায় ইন্টার্নরা তালা ঝুলিয়ে দেয়। বর্তমানে হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরাগুলো নষ্ট থাকার কারণে বহিরাগতদের চিহ্নিত করা যায়নি। তবে শিগগিরই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হবে।
এ ব্যাপারে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ নেতৃবৃন্দ জানান, বহিরাগত চোরের দল ও সন্ত্রাসীদের শাস্তিসহ হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।