ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বৃক্ষমানব নামে পরিচিত বিরল রোগে আক্রান্ত আবুল বাজানদারকে চিকিৎসার জন্য আগামী দেড় বছর পর্যন্ত হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তার বাম হাতে অস্ত্রোপচার করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা।
আবুল বাজানদারের চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সভা শেষে সোমবার এসব কথা জানানো হয়।
মেডিকেল বোর্ডের অন্যতম সদস্য ডা. সাজ্জাদ খন্দকার গণমাধ্যমকে জানান, আবুল বাজানদারের শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি স্থিতিশীল। তার ডান হাতে এরই মধ্যে দু’দফায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
ড. সাজ্জাদ
খন্দকার জানান, প্রথমে তারা ভেবেছিলেন ডান হাতের অস্ত্রোপচার পুরোপুরি শেষ করার পর আরেকটি হাতে অস্ত্রোপচার করা হবে।
কিন্তু এখন তারা ভাবছেন যে, ডান হাতের ক্ষত শুকিয়ে আসতে খানিকটা সময় লাগবে। এজন্য এরই মধ্যে আরেকটি হাতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা মনে করছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাম হাতে অস্ত্রোপচারের জন্য শারীরিকভাবে স্থিতিশীল আছেন আবুল বাজানদার।
ডা. সাজ্জাদ খন্দকার জানান, এখনো পর্যন্ত তারা যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন সেখানে আবুল বাজানদারের হাতে ক্যান্সারের কোওেনা অস্তিত্ব পাওয়া য়ায়নি।
এছাড়া তার শরীর থেকে নেয়া কিছু নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে। সেগুলোর প্রতিবেদন আসতে আরো দুই মাসের মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ খন্দকার জানান, আবুল বাজানদারের চিকিৎসা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এজন্য তাকে ধারাবাহিক অস্ত্রোপচার করতে হবে।
আবুল বাজানদার নামের ২৫ বছরের এই যুবক গত প্রায় এক দশক ধরে এ রোগে ভুগছেন।
এর ফলে তার দুই হাত এবং পায়ের কিছু অংশ বিকৃত হয়ে অনেকটা গাছের শেকড়ের মতো রূপ নিয়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি আবুল বাজানদারকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে আনা হয়। এখানেই তার চিকিৎসা চলছে।