মধু মাসের ফল লিচু। সব বয়সীদেরই প্রিয় ফল লিচু। বিশেষ করে ছোটরা খুব পছন্দ করে রসালো মিষ্টি এ ফলটি। বিভিন্ন জাতের ও রঙভেদে লিচু হয়ে থাকে। লাল, কমলা বা হালকা বাদামি রঙয়েরও লিচু পাওয়া যায়। তবে লাল টুকটুকে লিচুগুলোই সবাইকে বেশি আকৃষ্ট করে।
কিন্তু অনেক সময় লিচু মুখে দেয়ার পর টক লাগে, প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না। আকারে বড় অথচ টক, পানসে, রস কম, গন্ধহীন এধরনের লিচু খেয়ে অসুস্থ হয়েছে এমন নজিরও আছে। বেশি বেশি ফ্রেশ দেখাতে এসব লিচুতে মেশানো হয় লাল কেমিক্যাল। যা ক্যান্সারেরও অন্যতম কারণ।
পাকা ও ফরমালিনমুক্ত লিচু খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কিছু কৌশল আছে, যার মাধ্যমে পাকা ও মিষ্টি লিচু চিনে কিনতে পারবেন। তাহলে জেনে নেয়া যাক সেই উপায়গুলো-
লিচুতে রঙ বা কেমিক্যাল দেওয়া কিনা বুঝবেন যেভাবে-
১. লিচু কেনার সময় অবশ্যই এর খোসার দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। ভালো মানের লিচুগুলো সবসময় উজ্জ্বল রঙয়ের হয়ে থাকে।
২. কেনার সময় লিচু হাতে নিয়ে চাপ দিয়ে যদি দেখা যায় বেশি নরম, তাহলে সে লিচু না কেনাই উচিত। কারণ এগুলো বেশি পাকা এবং এসব লিচুর বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে থাকে।
৩. কেনার সময় লিচু ভালো কি-না তা পরীক্ষা করতে একটি লিচুর খোসা ছড়িয়ে দেখতে পারেন। যদি খোসা সহজেই খুলে আসে, তাহলে সেটি পাকা ও মিষ্টি। আর যদি সহজে খোসা না ছাড়ানো যায় অথবা লিচুর ভেতরের অংশে বাদামি দাগ দেখা যায়, তাহলে সেটি নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা বেশি।
৪. পাকা লিচু দিয়ে সবসময় মিষ্টি গন্ধ বের হয়। নাকের কাছে ধরলেই টের পাবেন লিচুগুলো ভালো না-কি ফরমালিন দেওয়া। যদি কেমিক্যাল দেওয়া থাকে, তাহলে মিষ্টি গন্ধ পাবেন না।
৫. ক্রেতা আকৃষ্ট করতে লিচুর গায়ে লাল রঙ মাখিয়ে রাখেন বিক্রেতারা। যদি দেখেন হাতে রঙ লাগছে বা লিচুর লাল রঙ ফ্যাকাশে হয়েছে তাহলে বুঝবেন সেই লিচু পাকা নয় এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই লিচু কেনার পর ঘণ্টাখানেক পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। রঙ মাখানো থাকলে পানি লালচে হয়ে যাবে।
৬. সবসময় গাঢ় রঙয়ের লিচু কিনবেন এবং এর সাইজ যেন অন্তত এক ইঞ্চি হয়। এমন লিচুগুলো পরিপক্ক হয়ে থাকে।
৭. লিচুটি নষ্ট বা পচা কি-না সেটা সহজেই বুঝতে পারবেন, যদি এর খোসা বাদামি বা দাগযুক্ত হয়ে যায়। এছাড়া লিচুর গায়ে ফাটল ধরা বা পচা গন্ধযুক্ত হলে লিচু কিনবেন না।
৮. লিচুর মুখ দেখে কেনা উচিত। সাধারণত পচা লিচুগুলোর মুখও পচা থাকে। যদি মুখটি ডালযুক্ত থাকে, তাহলে সেটি কিনতে পারেন। আর ভুলেও কখনো লিচুর বীজ খাবেন না। কারণ, এটি বিষাক্ত।