ঢাকা ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভেড়ার খামারে স্বাবলম্বী হয়েছেন বেকার যুবক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১
  • ২০৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ভেড়ার খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সনি মণ্ডল নামে এক বেকার যুবক। মাত্র ২টি ভেড়া দিয়ে শুরু করে এখন তার খামারে রয়েছে ৫০ থেকে ৬০টি ভেড়া। গরু-ছাগল পালনের চেয়ে খরচ কম হওয়ায় তার দেখাদেখি এখন এলাকার অনেকেই ভেড়ার খামারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর এলাকার পশ্চিম বিহারপুর গ্রামের যুবক সনি মণ্ডল কয়েক বছর আগে একটি ব্যবসায় লোকসান গুনে সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন। এরপরে ইউটিউবে দেখেন ভেড়া খামারের পদ্ধতি। ভাগ্য বদলের আশায় দেড় বছর আগে ১০ হাজার টাকা ধার নিয়ে মাত্র ২টি ভেড়া কিনে শুরু করেন খামার। লাভ হওয়ায় এরপর বাড়তে থাকে সংখ্যা। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমান তার খামারে রয়েছে ৫০ থেকে ৬০টি ভেড়া। আর এর আয় থেকে তিনি হয়েছেন স্বাবলম্বী।

আগে একটি ব্যবসা করতাম। হঠাৎ করে সেই ব্যবসায় লোকসান গুনি। এরপরে ইউটিউবে দেখি কীভাবে ভেড়া পালন করা যায়। প্রথমে দুইটি দিয়ে শুরু করি। এখন আমার খামারে ৫০-৬০টি ভেড়া। বেশ কয়েকটি বিক্রিও করেছি এতে আমার পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে। আমি যদি সরকার থেকে কোনো সহযোগিতা পাই তাহলে আমি এ খামারকে আরো বড় করব।

এদিকে সনির দেখাদেখি একই এলাকায় ভেড়ার খামার করে সফলতা পেয়েছেন জলি বেগম নামে এক নারী। তিনি  বলেন, সনির দেখাদেখি আমিও ভেড়ার খামার শুরু করেছি। আমার খামারে প্রায় ৩০টি ভেড়া। এর মধ্যে কয়েকটি বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করেছি।

এদিকে প্রতিদিন সনির এ খামার দেখতে আসেন এলাকার মানুষ। তারাও চান স্বাবলম্বী হতে এমন একটি খামার করতে।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা  বলেন, গরু-ছাগলের চেয়ে কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় জেলায় এখন অনেকে ভেড়া চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আক্কেলপুরের সনি মণ্ডল।

তিনি আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে ভেড়া পালনে চিকিৎসা, ব্যবস্থাপনা ওষুধসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও তাৎক্ষনিক চিকিৎসা বা পরামর্শের জন্য আমাদের একটি মেডিকেল টিম রয়েছে প্রতিটি উপজেলায়। যে কোনো মুহূর্তে তারা সেবা দিয়ে থাকে।

বেকার যুবকদের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যাদের কাজ-কর্ম নেই, বেকার বসে আছেন। তারা যদি ভেড়া পালনে এগিয়ে আসেন তাহলে এলাকার বেকারত্ব অনেকটা দুর হবে বলেও আশা করেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভেড়ার খামারে স্বাবলম্বী হয়েছেন বেকার যুবক

আপডেট টাইম : ০৩:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ভেড়ার খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সনি মণ্ডল নামে এক বেকার যুবক। মাত্র ২টি ভেড়া দিয়ে শুরু করে এখন তার খামারে রয়েছে ৫০ থেকে ৬০টি ভেড়া। গরু-ছাগল পালনের চেয়ে খরচ কম হওয়ায় তার দেখাদেখি এখন এলাকার অনেকেই ভেড়ার খামারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর এলাকার পশ্চিম বিহারপুর গ্রামের যুবক সনি মণ্ডল কয়েক বছর আগে একটি ব্যবসায় লোকসান গুনে সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন। এরপরে ইউটিউবে দেখেন ভেড়া খামারের পদ্ধতি। ভাগ্য বদলের আশায় দেড় বছর আগে ১০ হাজার টাকা ধার নিয়ে মাত্র ২টি ভেড়া কিনে শুরু করেন খামার। লাভ হওয়ায় এরপর বাড়তে থাকে সংখ্যা। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমান তার খামারে রয়েছে ৫০ থেকে ৬০টি ভেড়া। আর এর আয় থেকে তিনি হয়েছেন স্বাবলম্বী।

আগে একটি ব্যবসা করতাম। হঠাৎ করে সেই ব্যবসায় লোকসান গুনি। এরপরে ইউটিউবে দেখি কীভাবে ভেড়া পালন করা যায়। প্রথমে দুইটি দিয়ে শুরু করি। এখন আমার খামারে ৫০-৬০টি ভেড়া। বেশ কয়েকটি বিক্রিও করেছি এতে আমার পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে। আমি যদি সরকার থেকে কোনো সহযোগিতা পাই তাহলে আমি এ খামারকে আরো বড় করব।

এদিকে সনির দেখাদেখি একই এলাকায় ভেড়ার খামার করে সফলতা পেয়েছেন জলি বেগম নামে এক নারী। তিনি  বলেন, সনির দেখাদেখি আমিও ভেড়ার খামার শুরু করেছি। আমার খামারে প্রায় ৩০টি ভেড়া। এর মধ্যে কয়েকটি বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করেছি।

এদিকে প্রতিদিন সনির এ খামার দেখতে আসেন এলাকার মানুষ। তারাও চান স্বাবলম্বী হতে এমন একটি খামার করতে।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা  বলেন, গরু-ছাগলের চেয়ে কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় জেলায় এখন অনেকে ভেড়া চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আক্কেলপুরের সনি মণ্ডল।

তিনি আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে ভেড়া পালনে চিকিৎসা, ব্যবস্থাপনা ওষুধসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও তাৎক্ষনিক চিকিৎসা বা পরামর্শের জন্য আমাদের একটি মেডিকেল টিম রয়েছে প্রতিটি উপজেলায়। যে কোনো মুহূর্তে তারা সেবা দিয়ে থাকে।

বেকার যুবকদের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যাদের কাজ-কর্ম নেই, বেকার বসে আছেন। তারা যদি ভেড়া পালনে এগিয়ে আসেন তাহলে এলাকার বেকারত্ব অনেকটা দুর হবে বলেও আশা করেন তিনি।