ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাকালে তেজপাতার যত ঔষধী গুণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১
  • ১৭২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মহামারি করোনায় সংক্রমণের পরিমাণ প্রতিদিনিই বাড়ছে ভয়াবহভাবে। এসময় কখন যে কি কাজে লাগে, আগে থেকে বলা বেশ কঠিন।

রান্নাঘরে ব্যবহৃত অন্যতম মশলা তেজপাতা। এটি সাধারণত বিরিয়ানি, পোলাও সহ রেসিপিতে ব্যবহৃত হয়। তেজপাতা খাবারের স্বাদ যোগ করতে সহায়তা করে। তা ছাড়াও এটি শতাব্দী ধরে ঐতিহ্যবাহী ওষধি হিসাবেও ব্যবহৃত হয়।

তেজপাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এ, সি, বি ৬, আয়রন, পটাসিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমে শক্তিশালী প্রভাব ফেলে। এই মশালায় পাওয়া যৌগগুলো হজম উন্নতি করতে, অন্ত্রের সিন্ড্রোম (আইবিএস) প্রশমিত করতে বহুল পরিচিত। তেজপাতা স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে শান্ত করতে সহায়তা করে।

অরুচি

তেজপাতা অরুচি দূর করে। এ জন্য তেজপাতা সেদ্ধ করে তার পানি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। মাথার হালকা ব্যথা বা মাথাধরা দূর করার জন্য লবঙ্গ ও তেজপাতা দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়ারও প্রচলন আছে কোথাও কোথাও। মাড়িতে ব্যথা কিংবা ক্ষত হলে তেজপাতা–সেদ্ধ পানিতে অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে গার্গল করার প্রচলন রয়েছে।

হার্টবান্ধব

তেজপাতায় জৈব যৌগের মধ্যে রয়েছে ক্যাফেক অ্যাসিড। এ উপাদানগুলো হার্টের দেয়ালকে মজবুত করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। হৃদ্‌যন্ত্রকে সুস্থ রাখে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ৩০ দিন ১ থেকে ৩ গ্রাম তেজপাতা গ্রহণ করলে রক্তে গ্লুকোজ ও কোলেস্টরেলের পরিমাণ কমে। তেজপাতায় থাকা উপাদান ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মানসিক চাপ কমাতে

তেজপাতার মধ্যে রয়েছে লিনালুল নামক উপাদান। এটি উৎকণ্ঠা কাটাতে, শান্ত থাকতে ও হতাশা দূর করতে সহায়তা করে।

সর্দিকাশি বা ফ্লু এড়াতে

তেজপাতায় থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। সর্দিকাশি বা ফ্লু এড়াতে তেজপাতা সেদ্ধ করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

হজমশক্তি বাড়ায়

হজমশক্তি বাড়াতে তেজপাতার জুড়ি মেলা ভার। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয় এবং শরীরকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। তেজপাতায় রয়েছে এমন জৈব যৌগ, যা পেটের অসুখ সারাতে সাহায্য করে। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) বা অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতার ত্রুটিজনিত সমস্যায় তেজপাতা খুব কার্যকর। অনেক সময় শরীর জটিল প্রোটিন সহজে হজম করতে পারে না, তেজপাতা তা হজমে সাহায্য করে।

ব্যথা উপশমে কার্যকর

তেজপাতার অন্যতম গুণ হলো এটি প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি যেকোনো ধরনের মাথাব্যথা উপশমে কার্যকর। তেজপাতায় রয়েছে ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট উপাদান, যা প্রদাহ দূর করে। ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে তেজপাতার এসেনশিয়াল ওয়েল উপকারী।

ক্ষত নিরাময় করে

বিভিন্ন ধরনের ক্ষত নিরাময়ে তেজপাতা অতুলনীয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

করোনাকালে তেজপাতার যত ঔষধী গুণ

আপডেট টাইম : ০৩:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মহামারি করোনায় সংক্রমণের পরিমাণ প্রতিদিনিই বাড়ছে ভয়াবহভাবে। এসময় কখন যে কি কাজে লাগে, আগে থেকে বলা বেশ কঠিন।

রান্নাঘরে ব্যবহৃত অন্যতম মশলা তেজপাতা। এটি সাধারণত বিরিয়ানি, পোলাও সহ রেসিপিতে ব্যবহৃত হয়। তেজপাতা খাবারের স্বাদ যোগ করতে সহায়তা করে। তা ছাড়াও এটি শতাব্দী ধরে ঐতিহ্যবাহী ওষধি হিসাবেও ব্যবহৃত হয়।

তেজপাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এ, সি, বি ৬, আয়রন, পটাসিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমে শক্তিশালী প্রভাব ফেলে। এই মশালায় পাওয়া যৌগগুলো হজম উন্নতি করতে, অন্ত্রের সিন্ড্রোম (আইবিএস) প্রশমিত করতে বহুল পরিচিত। তেজপাতা স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে শান্ত করতে সহায়তা করে।

অরুচি

তেজপাতা অরুচি দূর করে। এ জন্য তেজপাতা সেদ্ধ করে তার পানি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। মাথার হালকা ব্যথা বা মাথাধরা দূর করার জন্য লবঙ্গ ও তেজপাতা দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়ারও প্রচলন আছে কোথাও কোথাও। মাড়িতে ব্যথা কিংবা ক্ষত হলে তেজপাতা–সেদ্ধ পানিতে অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে গার্গল করার প্রচলন রয়েছে।

হার্টবান্ধব

তেজপাতায় জৈব যৌগের মধ্যে রয়েছে ক্যাফেক অ্যাসিড। এ উপাদানগুলো হার্টের দেয়ালকে মজবুত করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। হৃদ্‌যন্ত্রকে সুস্থ রাখে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ৩০ দিন ১ থেকে ৩ গ্রাম তেজপাতা গ্রহণ করলে রক্তে গ্লুকোজ ও কোলেস্টরেলের পরিমাণ কমে। তেজপাতায় থাকা উপাদান ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মানসিক চাপ কমাতে

তেজপাতার মধ্যে রয়েছে লিনালুল নামক উপাদান। এটি উৎকণ্ঠা কাটাতে, শান্ত থাকতে ও হতাশা দূর করতে সহায়তা করে।

সর্দিকাশি বা ফ্লু এড়াতে

তেজপাতায় থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। সর্দিকাশি বা ফ্লু এড়াতে তেজপাতা সেদ্ধ করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

হজমশক্তি বাড়ায়

হজমশক্তি বাড়াতে তেজপাতার জুড়ি মেলা ভার। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয় এবং শরীরকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। তেজপাতায় রয়েছে এমন জৈব যৌগ, যা পেটের অসুখ সারাতে সাহায্য করে। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) বা অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতার ত্রুটিজনিত সমস্যায় তেজপাতা খুব কার্যকর। অনেক সময় শরীর জটিল প্রোটিন সহজে হজম করতে পারে না, তেজপাতা তা হজমে সাহায্য করে।

ব্যথা উপশমে কার্যকর

তেজপাতার অন্যতম গুণ হলো এটি প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি যেকোনো ধরনের মাথাব্যথা উপশমে কার্যকর। তেজপাতায় রয়েছে ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট উপাদান, যা প্রদাহ দূর করে। ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে তেজপাতার এসেনশিয়াল ওয়েল উপকারী।

ক্ষত নিরাময় করে

বিভিন্ন ধরনের ক্ষত নিরাময়ে তেজপাতা অতুলনীয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে।