২০১৩ সালের বিপিএলে ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছরের জন্য মোহাম্মদ আশরাফুলকে সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। পরে শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে তিন বছরে আনা হলে এবছরের মাঝামাঝি মাঠে ফেরার কথা ছিল মোহাম্মাদ আশরাফুলের।
কিন্তু মঙ্গলবার ক্রীড়া বিষয়ক দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এই প্রতিবেদনে ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের নতুন করে তিনটি নজির প্রকাশ পায়।
১। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত একটি টেস্ট ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি (মোহাম্মদ আশরাফুল) বাজিকরের কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা (প্রায় ১০ হাজার মার্কিন ডলার নিয়েছিলেন, যদিও দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ায় সে যাত্রায় তিনি কথা রাখতে পারেননি। তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, এই প্রতিশ্রুতিতে পরবর্তীতে ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একটি ম্যাচে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
২। তাছাড়া ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এসএলপিএল) আরেকটি ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের বিনিময়ে আরও ১০ হাজার মার্কিন ডলার আয় করার কথাও আশরাফুল স্বীকার করেছিলেন।
৩। টিআইবি নিজেদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ২৫ লক্ষ টাকার (প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন ডলার) বিনিময়ে ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আরেকটি ম্যাচেও স্পট ফিক্সিংয়ে তার (মোহাম্মদ আশরাফুল) ভূমিকা রাখার কথা শোনা যায়।