ব্র্যাকের কর্মশালায় বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৬ ডাক্তারসহ ২০ জন। নিহত হয়েছেন ১ জন। লক্ষ্মীপুরে ব্র্যাকের কর্মশালায় পরিবেশন করা খাবার খেয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পরিবেশন করা খাবার খেয়ে মারা যাওয়া লিটন হোসেন ফেনীর মহিপাল মুদিবাড়ি এলাকার সোলায়মানের ছেলে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন হাসপাতালের তিন কনসালটেন্ট ও মেডিকেল অফিসারসহ বিশজন।
এ ঘটনায় সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে নাছির বিরিয়ানি হাউজে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরজ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালান। এসময় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে সদর হাসপাতাল সম্মেলন কক্ষে সদর হাসপাতালের ১৮ জন চিকিৎসক নিয়ে যক্ষ্মা বিষয়ে ব্র্যাকের আয়োজনে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালা শেষে সবাইকে নাছির বিরিয়ানি হাউজের খাবার প্যাকেট সরবরাহ করা হয়। ওই খাবার খেয়ে সদর হাসপাতালের মেডিসিন কনসালটেন্ট ইকবাল হোসেন, নাক-কান-গলার কনসালটেন্ট ওমর ফারুক খান,
রেডিওলোজি কনসালটেন্ট সালাউদ্দিন পাটওয়ারী, মেডিকেল অফিসার আবদুল খালেদ, গনি আমিন, চিন্ময় সাহা ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ ২০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
গুরুতর অসুস্থ সবাইকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে একই হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট আবুল খায়ের সরবরাহকৃত খাবার না খেয়ে তার চেম্বার সহকারী পারুলকে সরবরাহ করেন। পারুল ওই প্যাকেটের খাবার স্বামী লিটন হোসেন ও শিশু চাদনীকে খাওয়ান। ওই খাবার খেয়ে রাতে স্বামী লিটন ও চাদনী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বুধবার সকালে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান লিটন হোসেন।
সিভিল সার্জন ডা. গোলাম ফারুক ভূইঁয়া দুপুরে হাসপাতালের অসুস্থ চিকিৎসকদের দেখতে যান। এ ঘটনায় সিভিল সার্জনকে প্রধান করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. গোলাম ফারুক ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরবরাহকৃত খাবারের সঙ্গে বিষাক্ত কোনো কিছু মেশানো হয়েছে নাকি পচা-বাসি খাবার সরবরাহ করা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।