ভালোবাসা দিবসে ব্রিটেনজুড়ে যখন ভালোবাসায় মাতোয়ারা তখন নীরবে কাঁদছেন ব্রিটিশ এক যুবতী। তিনি ভালোবেসে বিয়ে করেছেন মিসরীয় এক যুবককে। সেই যুবককে ব্রিটেনে নেয়ার জন্য কাগজপত্র তৈরি করতে কয়েক হাজার পাউন্ড খরচ করেছেন তিনি। বিনিময়ে চেয়েছিলেন একটু ভালোবাসা।
কিন্তু এক বছরের মাথায় সেই ভালোবাসার মানুষটি বদলে যায়। তার সেই প্রেমিক আরেক নারীর প্রেমে মত্ত। তবু তাকে ফিরে পাওয়ার আশার এখনো বুক বেঁধে আছেন লুসি ম্যানলি। এখনো স্বামী আবদি আলির জন্য গভীর রাতে একা একা কাঁদেন তিনি।
তার কান্না যেন বাতাসে মিলিয়ে যায়। চোখের অশ্রু শুকিয়ে যায়। কিন্তু আবদি আলির কোনো খবর পান না লুসি। এভাবেই চলছে তার জীবন। লুসি ম্যানলি এক সফরে মিসরের শার্ম আল শেখে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানেই পরিচয় হয় আবদি আলির সঙ্গে। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরেই তাদের প্রেম, এরপর বিয়ে।
সেই যুবককে ব্রিটেনে নিয়ে যেতে লুসি খরচ করেছেন ১০ হাজার পাউন্ড। তাদের বিয়ের প্রথম বার্ষিকীতে, ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা, অর্থ হারানোর সেই কষ্ট এখন কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে লুসিকে। তিনি আবদি আলিকে ব্রিটেনে এনে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, সেই সুখ এখন হাতছাড়া।
তার স্বামী আবদি আলি মিসরের একজন বারম্যান। তাকে ব্রিটেনে নিয়ে যান লুসি। একপর্যায়ে আবদি স্বীকার করেন ব্রিটেনে সে আরেকজনের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েছেন। লুসিকে তিনি তার জীবন থেকে সরে যেতে বলেন।
এরপরই লুসি দেখতে পান, তারই এক প্রতিবেশীর সঙ্গে আবদি মজেছেন। আবদি আলির বয়স ২৮ বছর। তার প্রতারণায় ভেঙে পড়েছেন ৩২ বছরের যুবতী লুসি।
তিনি বলেন, তার সঙ্গে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিনিময়ে সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে থাকলে আমার জীবনে বসন্তের রঙ লাগতে পারতো। তার এ আচরণে আমি চিৎকার করে কাঁদি। আমার দম বন্ধ হয়ে আসে।
উল্লেখ্য, লুসি একজন ট্রেইনি শিক্ষক। ২০০৯ সালে শারম আল শেখে তাদের সাক্ষাতের পর ভালোই কেটে যায় সময়। লুসি বলেন, প্রথমে তাকে আমার পছন্দ হয়নি। কিন্তু আস্তে আস্তে তা কেটে যেতে থাকে। আমি তার মাঝে হারিয়ে যেতে থাকি।
তিনি বলেন, সে আমাকে নিয়ে নানা তামাশা করতো। একপর্যায়ে আবদি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নেয়নি। আবার মিসর সফরে যান তিনি। এরপর সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের। সেই বিয়েই আজ কাল হলো। চোখের জলেই ভাসতে হবে আমার।