হাওর বার্তা ডেস্কঃ হিমালয়ের গহীন জঙ্গল মানেই রহস্যে ঘেরা। আর হিমালয়ের বুকে বাস করে অসংখ্য নাম না জানা প্রাণী। পশু-পাখির হাজার রকমের প্রজাতি টিকে আছে পশ্চিম হিমালয়ের ঘন জঙ্গলে।
তার পরেও গবেষকরা চিন্তিত। বিশেষ করে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় গবেষকরা জানতে পেরেছেন, বিশ্ব জীবতন্ত্রের আঁধার এই হিমালয়ের বুক থেকে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য পাখি।
দেরাদুনের সেন্টার ফর ইকোলজি, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ, হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির গবেষকরা যৌথ উদ্যোগে ওই সমীক্ষা চালিয়েছেন।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, মাটির চরিত্র পরিবর্তনের ফলে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে জীববৈচিত্র্যে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে হারিয়ে যাচ্ছে একাধিক পাখির প্রজাতি।
সমীক্ষায় জানা গেছে, দুই বছর আগেও পাখির সংখ্যা বেশি ছিল পশ্চিম হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে। সেখানে যে ধরনের ওক গাছের জঙ্গল রয়েছে, তা পাখিদের বাসস্থানের পক্ষে সহায়ক। এছাড়া পাইন গাছের জঙ্গলও বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক ছিল।
বর্তমানে ওক গাছের সংখ্যা কমেই চলেছে। পাইন গাছেরও ঘনত্ব কমছে। বাসস্থানের অভাবে বংশবৃদ্ধিতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সমস্যা হচ্ছে।
গত দুই বছরে প্রায় ৫০ শতাংশ পাখির প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। জঙ্গলের পরিমাণ কমে যাওয়া, মাটির চরিত্র বদল, ওক গাছের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার ফলে পাখির প্রজাতি বিলুপ্তির পথে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
তাদের শঙ্কা, মাত্র এক বছরের মধ্যে পাখিদের সংখ্যা ৬০-৮০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর