হাওর বার্তা ডেস্কঃ এক প্রকার ফাংশনাল ফুড হচ্ছে তিসির বীজ বা ফ্ল্যাক্সসিড। অতুলনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর এই বীজ। এই বীজ দেখতে খয়েরি ও আকারে খুব ছোট। তবে তিসির বীজ খেতে বেশ মচমচে ও সুস্বাদু। স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী এই বীজ।
তিসির বীজে শরীরের জন্য উপকারী লিগন্যানস, ফাইবার, প্রোটিন, আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড বা ওমেগা থ্রির মতো পলিআন স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। অন্যান্য খাবারের চেয়ে ৮০০ গুণ বেশি লিগন্যানস থাকায় এ বীজটিকে সুপারফুড বলা হয়।
তবে সর্বাধিক উপকার পেতে এই বীজ থেকে উৎপাদিত ফ্ল্যাক্সসিড তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া এই বীজ ভিজিয়ে রেখে কিংবা গুঁড়া করে খেলেও উপকার মিলবে। কারণ এটি শরীরে তাড়াতাড়ি মিশে যায়। সকালে সিরিয়ালের সঙ্গে বা দই দিয়ে এই বীজ খেলেও উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন সামান্য তিসির বীজ খেলে আরো যেসব উপকার মিলবে সেগুলো হলো-
> অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তিসির বীজ স্নায়ুর জন্য উপকারী। এটি স্নায়ু ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে।
> তিসির বীজের জেল ত্বক এবং চুলের জন্য দারুণ উপকারী। এটি ফ্লেকি বা খসখসে এবং রুক্ষ ত্বকের উপর খুব ভালো কাজ করে। নিয়মিত তিসি খেলে বা তেল লাগালে ত্বক নরম হয়। শুষ্ক স্কাল্প আর্দ্রও করে এই বীজ।
> তিসির বীজ ডায়েটরি ফাইবার সমৃদ্ধ। এটিতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় দুই ধরনের ফাইবার রয়েছে। দ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্রের টক্সিন বের করতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে এই বীজ হজমক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।
> রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তিসির বীজ খুব কার্যকরী। ফ্ল্যাকসিডে অদ্রবণীয় ফাইবারগুলো লিগন্যান দিয়ে তৈরি যা রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে।
> তিসির বীজ অ্যামিনো অ্যাসিড, আর্জিনাইন এবং গ্লুটামাইন দ্বারা সমৃদ্ধ। এসব উপাদান হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে। তিসি বীজ রক্তচাপ কমায়, খারাপ কোলেস্টেরল কমায়, ধমনীতে কোনো বস্তু জমা হওয়া রোধ করে। এ কারণে এই বীজ পরোক্ষভাবে স্ট্রোক বা হৃদরোগও প্রতিরোধ করে।
> তিসির বীজে লিগন্যান থাকায় এটি কোলন, প্রসটেট, স্তনের ক্যান্সার রোধ করে। এর অ্যান্টি অ্যাঞ্জিওজেনিক উপাদান শরীরে টিউমার হতে বাধা দেয়।