বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি গঠনতন্ত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধন অনুমোদন করেছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন পদের মতো এবার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদেও সরাসরি নির্বাচন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। তিনি বলেন বুধবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
২০০৯ সালে বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিলে তারেকের জন্য সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ সৃষ্টি করা হয়। এর আগে তারেকের জন্য সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের পদও সৃষ্টি করা হয়। বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারপার্সনের অনুপস্থিতিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান একই ক্ষমতা ভোগ করবেন। এ কারণে চেয়ারপার্সনের সঙ্গে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য জানিয়েছেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হলেন তার বড় ছেলে তারেক রহমান। এবারও এই দুই পদে তারাই প্রার্থী হচ্ছেন বলে দলটির বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচনের সঙ্গে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ জন্য দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধন করার জন্য চেয়ারপার্সনকে অনুরোধ করা হয়। স্থায়ী কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে দলের চেয়ারপার্সন গঠনতন্ত্রের ১৯ ‘ক’ ধারায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী অনুমোদন করেছেন।
সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় দলের চেয়ারপারসন ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন পরিচালনায় একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দীন সরকারকে এই কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। আর হারুন-আল-রশীদকে সদস্য ও মো. আমিনুল হককে সদস্যসচিব করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেবে।
স্থায়ী কমিটির সভায় জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে ১৫টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
মানবকণ্ঠ