ঢাকা ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধারা অনুযায়ী পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • ৩৬৬ বার

পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কোনো তৃতীয় শক্তির মধ্যস্থতা ছাড়াই চুক্তি যখন করেছি, তখন তা বাস্তবায়ন করবোই। চুক্তির যেসব ধারা বাস্তবায়ন হয়নি, তার পুরোপুরি বাস্তবায়ন করবো। এখনও যেসব ধারা বাস্তবায়ন হয়নি, সেগুলোও বাস্তবায়ন করবো।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে রাঙামাটির স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকার যাবতীয় ব্যবস্থা আমরা করেছি, যারা চাকরি চেয়েছিলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া শিথিল করে তাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, হঠাৎ করেই চুক্তি করেছি তা নয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তি হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য জনসংহতি সমিতির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে। কোনো বিদেশি শক্তিকে আমরা সম্পৃক্ত করিনি, কারণ এটি ছিল রাজনৈতিক সমস্যা। তাই আমি বলেছি রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে।

‘আমি ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর ওই অঞ্চলের যখনই কোনো ঘটনা ঘটেছে আমি তখনই ছুটে গেছি সেখানে। সমস্যার বিষয়গুলো আমার জানা, সমাধানের পথ কী তা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। পরে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। এরপর তাদের সার্বিক বিষয় প্রাধান্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করেছি। আমরা সব সময় বলেছি, সমাধান হবে সংবিধানের ভেতরে, বাইরে হবে না। চুক্তির ধারা অনুযায়ী চুক্তি বাস্তবায়ন করবো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন চুক্তি হয় বিএনপি-জামায়াত তার বিরোধিতা করেছিল। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন-এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে।’

‘উনি তখন ফেনীর সংসদ সদস্য, তাই উনাকে প্রশ্ন করেছিলাম ফেনী যদি ভারত হয়ে যায়, তাহলে কী তিনি ভারতের সংসদে গিয়ে বসবেন? যেদিন অস্ত্র সমর্পন হয়, সেদিন বিএনপি পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় হরতাল-অবরোধ ডেকেছিল, যাতে অস্ত্র সমর্পন না হয়। এই ১০ ফেব্রুয়ারি কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্ত্র জমা দেন বিদ্রোহীরা।’

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরীর (চট্টগ্রাম-১২) অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এয়ারপোর্ট করতে হলে, পাহাড় কেটে করতে হবে, সেটা পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য ভালো হবে না।

‘আমরা রাস্তা করে দিচ্ছি, কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বেশি দূরে নয়, প্রশস্থ রাস্তা আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সৌন্দার্য উপভোগ করার জন্য রাস্তা দিয়ে চলাই সুন্দর হবে। এয়ারপোর্টের দরকার নেই।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ধারা অনুযায়ী পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হবে

আপডেট টাইম : ১০:৩০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কোনো তৃতীয় শক্তির মধ্যস্থতা ছাড়াই চুক্তি যখন করেছি, তখন তা বাস্তবায়ন করবোই। চুক্তির যেসব ধারা বাস্তবায়ন হয়নি, তার পুরোপুরি বাস্তবায়ন করবো। এখনও যেসব ধারা বাস্তবায়ন হয়নি, সেগুলোও বাস্তবায়ন করবো।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে রাঙামাটির স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকার যাবতীয় ব্যবস্থা আমরা করেছি, যারা চাকরি চেয়েছিলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া শিথিল করে তাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, হঠাৎ করেই চুক্তি করেছি তা নয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তি হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য জনসংহতি সমিতির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে। কোনো বিদেশি শক্তিকে আমরা সম্পৃক্ত করিনি, কারণ এটি ছিল রাজনৈতিক সমস্যা। তাই আমি বলেছি রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে।

‘আমি ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর ওই অঞ্চলের যখনই কোনো ঘটনা ঘটেছে আমি তখনই ছুটে গেছি সেখানে। সমস্যার বিষয়গুলো আমার জানা, সমাধানের পথ কী তা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। পরে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। এরপর তাদের সার্বিক বিষয় প্রাধান্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করেছি। আমরা সব সময় বলেছি, সমাধান হবে সংবিধানের ভেতরে, বাইরে হবে না। চুক্তির ধারা অনুযায়ী চুক্তি বাস্তবায়ন করবো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন চুক্তি হয় বিএনপি-জামায়াত তার বিরোধিতা করেছিল। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন-এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে।’

‘উনি তখন ফেনীর সংসদ সদস্য, তাই উনাকে প্রশ্ন করেছিলাম ফেনী যদি ভারত হয়ে যায়, তাহলে কী তিনি ভারতের সংসদে গিয়ে বসবেন? যেদিন অস্ত্র সমর্পন হয়, সেদিন বিএনপি পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় হরতাল-অবরোধ ডেকেছিল, যাতে অস্ত্র সমর্পন না হয়। এই ১০ ফেব্রুয়ারি কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্ত্র জমা দেন বিদ্রোহীরা।’

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরীর (চট্টগ্রাম-১২) অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এয়ারপোর্ট করতে হলে, পাহাড় কেটে করতে হবে, সেটা পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য ভালো হবে না।

‘আমরা রাস্তা করে দিচ্ছি, কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বেশি দূরে নয়, প্রশস্থ রাস্তা আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সৌন্দার্য উপভোগ করার জন্য রাস্তা দিয়ে চলাই সুন্দর হবে। এয়ারপোর্টের দরকার নেই।’