সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে হাজি মো. সেলিম (ঢাকা-৭) সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তিনি বলেন, বয়সসীমা অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিলিয়ে ৩৫ করা হলে সরকারি চাকরি প্রত্যাশীরা উপকৃত হবেন।
জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে বুধবার মাগরিবের বিরতির পর অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহবান জানান।
হাজী সেলিম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ফোন করে ‘জাতিসংঘ ইউনাইটেড নেশনস হাই লেভেল প্যানেল অন ওয়াটার’ প্যানেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সদস্য হিসেবে রাখার প্রস্তাব করেন। প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবে সম্মতি জানান। এ খবরে দেশে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়। এই ঢেউয়ের মধ্যে সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কিছু চাই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী, আমরা দেশের বেকার শিক্ষিতদের জন্য কান্নাকাটি করছি। সরকারি চাকরিতে ঢুকার বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবি জানাচ্ছি। এই দাবি যুক্তিসঙ্গত। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০ রয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৪০ বছর, শ্রীলংকায় ৪৫ বছর, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৫ বছর, ইতালিতে ৩৫ বছর, ফ্রান্সে ৪০ বছর, যুক্তিরাষ্ট্রে ৫৯ বছর, কানাডা ও সুইডেন ৪৭ বছর, কাতার ও নরওয়ে ৩৫ বছর, এঙ্গোলা ৪৫ বছর, তাইওয়ানে ৩৫ বছর রয়েছে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে ডাক্তারদের আবেদনের বয়স ৩২ বছর। নার্সদের ৩৬ বছর। অথচ সংবিধানে সকল নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে ২০১২ সালে ২ ফ্রেবুয়ারিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আবেদন করা হয়েছে।
হজী সেলিম বলেন, বর্তমানে সেশনজটসহ বিভিন্ন কারণে চাকরির আবেদনের বয়স শেষ হয়ে যায়। ২০০৮ সালে শুধুমাত্র মাস্টার ডিগ্রিতে সেশনজট ছিল দুই বছরের বেশি। ২০০৯ ও ২০১০ সালে তিন বছরের বেশি।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও ১ ফ্রেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার দাবি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। তিনি বলেন, পৃথিবীর রোল মডেল শেখ হাসিনার কাছে কিছু চাইতে হয় না। চাওয়ার আগেই তিনি দিয়ে দেন। তবুও একটি প্রবাদ আছে- সন্তান না কাঁদলে মাও দুধ দেয় না।