ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এশীয় অবকাঠামো উন্নয়নে সংসদে নতুন আইন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • ২৪২ বার

এশিয়ার দেশগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকের অংশীদার হতে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে সোমবার জাতীয় সংসদে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক আইন-২০১৬ নামে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, এশিয়ার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে চীন এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এআইআইবিতে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যোগ দিতে বাংলাদেশ ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে। ২০১৫ সালের ২৯ জুন বাংলাদেশসহ ৫৭টি সদস্য দেশ আর্টিকেল অব এগ্রিমেন্ট সই করে। গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে এওএ কার্যকর হয়েছে। এই ব্যাংকের সদস্য হওয়ায় বাংলাদেশেরও কিছু দায়-দায়িত্ব রয়েছে। যে কারণে নতুন আইন প্রণয়ন প্রয়োজন। যে কারণে এই বিলটি আনা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, এআইআইবির অনুমোদিত মুলধন ধরা হয়েছে একশো বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সদস্য পদের জন্য বাংলাদেশকে শেয়ারমূল্য বাবদ ৬৬ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে পরিশোধিত মূলধন হিসেবে ১৩ কোটি ২১ লাখ ডলার এবং ৫২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হবে অপরিশোধিত (কিস্তিতে) মূলধন হিসেবে। প্রতি কিস্তিতে ১০৫ কোটি ৬৮ লাখ পরিশোধ করতে হবে।
বিলে আরো বলা হয়েছে, এই ব্যাংকের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রধানতঃ অবকাঠামো এবং অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে এশিয়ার টেকসই উন্নয়ন, সম্পদ সৃষ্টি এবং যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে উৎসাহিত করা। দ্বিপাক্ষিক ও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগের মাধ্যমে কাজ করে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা। উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর প্রস্তাবিত আইনটি মন্ত্রিপরিষদ নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়।
গত ১৯ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে ভেটিং সম্পন্ন হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুমোদন দেয়। এরআগে গত ডিসেম্বরে এআইআইবির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এই ব্যাংকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কে কিয়াং উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও যোগ দেন। ব্যাংকের প্রথম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন চীনের সাবেক অর্থমন্ত্রী জিন লিকুয়ান। বেইজিংয়ে সংস্থার সদর দফতরে ওই অনুষ্ঠানে ১২ জনকে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
মানবকণ্ঠ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

এশীয় অবকাঠামো উন্নয়নে সংসদে নতুন আইন

আপডেট টাইম : ১১:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

এশিয়ার দেশগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকের অংশীদার হতে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে সোমবার জাতীয় সংসদে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক আইন-২০১৬ নামে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, এশিয়ার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে চীন এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এআইআইবিতে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যোগ দিতে বাংলাদেশ ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে। ২০১৫ সালের ২৯ জুন বাংলাদেশসহ ৫৭টি সদস্য দেশ আর্টিকেল অব এগ্রিমেন্ট সই করে। গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে এওএ কার্যকর হয়েছে। এই ব্যাংকের সদস্য হওয়ায় বাংলাদেশেরও কিছু দায়-দায়িত্ব রয়েছে। যে কারণে নতুন আইন প্রণয়ন প্রয়োজন। যে কারণে এই বিলটি আনা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, এআইআইবির অনুমোদিত মুলধন ধরা হয়েছে একশো বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সদস্য পদের জন্য বাংলাদেশকে শেয়ারমূল্য বাবদ ৬৬ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে পরিশোধিত মূলধন হিসেবে ১৩ কোটি ২১ লাখ ডলার এবং ৫২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হবে অপরিশোধিত (কিস্তিতে) মূলধন হিসেবে। প্রতি কিস্তিতে ১০৫ কোটি ৬৮ লাখ পরিশোধ করতে হবে।
বিলে আরো বলা হয়েছে, এই ব্যাংকের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রধানতঃ অবকাঠামো এবং অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে এশিয়ার টেকসই উন্নয়ন, সম্পদ সৃষ্টি এবং যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে উৎসাহিত করা। দ্বিপাক্ষিক ও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগের মাধ্যমে কাজ করে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা। উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর প্রস্তাবিত আইনটি মন্ত্রিপরিষদ নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়।
গত ১৯ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে ভেটিং সম্পন্ন হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুমোদন দেয়। এরআগে গত ডিসেম্বরে এআইআইবির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এই ব্যাংকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কে কিয়াং উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও যোগ দেন। ব্যাংকের প্রথম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন চীনের সাবেক অর্থমন্ত্রী জিন লিকুয়ান। বেইজিংয়ে সংস্থার সদর দফতরে ওই অনুষ্ঠানে ১২ জনকে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
মানবকণ্ঠ