দেশে ৬৬ শতাংশের বেশি মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশে ৬৬ শতাংশের বেশি লোক করোনার টিকা নিতে আগ্রহী। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফেসবুকের পরিচালিত এক জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপে ১ লাখ ৫২ হাজার বাংলাদেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী অংশ নেন।

জরিপ অনুযায়ী সর্বোচ্চ সিলেট বিভাগের ৭২ দশমিক ২৮ শতাংশ লোক টিকা নিতে আগ্রহী। আর সর্বনিম্ন রংপুর বিভাগের ৬৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ লোক টিকা নিতে চান। এছাড়া ঢাকা বিভাগের ৬৩ দশমিক ৫১, বরিশাল বিভাগের ৬৮ দশমিক ৭৩, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬৯ দশমিক ৫৩, খুলনা বিভাগের ৬৮ দশমিক ৪৫ এবং রাজশাহী বিভাগের ৬৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ লোক টিকা নিতে চান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহে ভিন্নতা দেখা গেছে। যেমন, ভিয়েতনামের ৮৬ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে চান আর ভারতের ৭২ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী।

এদিকে করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। দেশব্যাপী চলমান করোনা টিকাদান কার্যক্রমের পঞ্চম দিন গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ সারা দেশের ৪৬টি সরকারি হাসপাতাল ও অন্যান্য কেন্দ্রে সর্বমোট ২ লাখ ৪ হাজার ৫৪০ জন টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৪০ হাজার ১৫২ জন পুরুষ ও ৬৪ হাজার ৩৮৮ জন নারী রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সর্বমোট টিকা গ্রহীতার বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে ঢাকা বিভাগে ৫১ হাজার ১৫৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ হাজার ৩৩৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫২ হাজার ৮৬৯ জন, রাজশাহীতে ২৩ হাজার ১৮০ জন, রংপুর বিভাগে ১৯ হাজার ৩৮০ জন, খুলনা বিভাগে ২৩ হাজার ৪৭৯ জন, বরিশাল বিভাগে ৯ হাজার ৩৯৭ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৫ হাজার ৭৩৯ জন টিকা নেন।

করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়ার জন্য টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধনের সুবিধা আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নিবন্ধন না করেও অনেকে টিকা নিতে আসায় বিভিন্ন কেন্দ্রে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ, বিশেষ করে যাদের স্মার্টফোন নেই, তাদের জন্য টিকাদান কেন্দ্রে এসে নিবন্ধনের সুযোগ রেখেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি মানুষ টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। ৩ লাখের বেশি মানুষ ইতিমধ্যে টিকা নিয়েছেন। কিন্তু টিকাদান কার্যক্রম ঠিকভাবে চালাতেই আপাতত ঐ সুবিধা বন্ধের সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর