গত বছর বাংলাদেশের মাটিতে জুন মাসে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ একাই গুঁড়িয়ে দেন মুস্তাফিজ। সেই সিরিজে মুস্তাফিজের কাটার-স্লোয়ার ভেল্কিতেই ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের লজ্জা নিয়ে দেশে ফেরেন ধোনি-কোহলিরা। এর মধ্যদিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটবিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেন বাংলাদেশি এ বাঁহাতি পেসার।
টাইগার মুস্তাফিজের সেই কাটার-স্লোয়ার ভেল্কিতে মুগ্ধ হয়ে গত শনিবার ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নবম আসরের নিলামে বিভিন্ন টিমের কতৃপক্ষ টাননাটানি শুরু করে দেন মুস্তাফিককে নিয়ে। তবে সেদিন মুস্তাফিজ যে ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর কেড়েছেন তা বলার অপেক্ষা রেখেননি।
বাংলাদেশি উদীয়মান পেসার কাটার মুস্তাফিজুর রহমানের নাম নিলামে উঠলে মুহূর্তেই আইপিএল বিভিন্ন টিমের চেহারায় ঝিলিক খেলে যায়। তার ভিত্তি মূল্য ছিল ৫০ লাখ রুপি। প্রথমেই তাকে দলে পাওয়ার চেষ্টা করে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ। কিন্তু তাদের টেক্কা দিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু আরও বেশি দাম হাঁকে। তরতর করে বাড়তে থাকে মুস্তাফিজের দাম। শেষ পর্যন্ত হায়দারাবাদেরই জয় হয়। তারা বাংলাদেশের ২০ বছর বয়সী এ বাঁহাতি পেসারকে ১ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে দলে ভেড়ায়। যা বাংলাদেশি ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা প্রায়।
মুস্তাফিজের কাটার দেখে শুধু যে ভারতীয় ক্রিকেটাভক্তরা মুগ্ধ তা নয়। এর আগে মুস্তাফিজের কাটার-স্লোয়ার ভেল্কিতে মুগ্ধ হয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগ(পিএসএল)-এর লাহোর কালান্দার্স কতৃপক্ষ। পাকিস্তান সুপার লিগের(পিএসএল) প্রথম আসরেও মুস্তাফিজকে ৪০ লাখ টাকায় দলে ভিড়িয়েছিল লাহোর কালান্দার্স। কিন্তু কাঁধের ইনজুরির কারণে তাকে পিএসএলের খেলার অনুমতি দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জল নক্ষত্র মুস্তাফিজুর রহমান বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের পর একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে আইপিএলের এবারের আসরে খেলবেন। এটা নিজের জন্য কতটা বড় বিষয়।
তার থেকে বড় বিষয় হচ্ছে এবারের আইপিএলে মুস্তাফিজের সানরাইজার্স হায়দরাবাদে আসেন অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যাদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারবেন মুস্তাফিজ।
যদিও মুস্তাফিজ গত বছরের জুনে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া এই বোলার ৯টি ওয়ানডেতে ১২ দশমিক ৩৪ গড়ে ২৬ উইকেট নিয়েছেন। সাতটি টি- টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৪ দশমিক ৯০ গড়ে নিয়েছেন ১০ উইকেট।