মোবাইল অপারেটর রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার বিষয়ে কারও আপত্তি নেই। বাকি চার অপারেটরই এ ব্যাপারে ‘ইতিবাচক মনোভাব’ দেখিয়েছে বলে জানালেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ।
সোমবার চার অপারেটরের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, “মার্জার ইস্যু নিয়ে প্রত্যেকটা অপারেটর মনে করে এটি কনজ্যুমারদের জন্য পজিটিভ। প্রত্যেকটা অপারেটর পক্ষে মতামত দিয়েছে, কেউ না করেনি।”
সোমবার বৈঠকে অংশ নেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক আস, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, গ্রামীণফোনের হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মাহমুদ হোসেন এবং সিটিসেলের একজন প্রতিনিধি।
বর্তমানে রবির ১৯ দশমিক ৮০ মেগাহার্টজ এবং এয়ারটেলের ২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ রয়েছে। একীভূত হওয়ার পর যা হবে ৩৯ দশমিক ৮০ মেগাহার্টজ। বর্তমানে গ্রামীণফোনের রয়েছে ৩২ মেগাহার্টজ তরঙ্গ, যা সব অপারেটর চেয়ে বেশি।
একীভূতকরণ নিয়ে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি গণশুনানি এবং চার অপারেটরের মতামত নিয়ে কমিশনে আলোচনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিটিআরসি একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করছে, ওই কমিটি এসব বিষয় সংযুক্ত করে কমিশনে উত্থাপন করবে।”
বিটিআরসি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে একীভূতকরণ ও তরঙ্গ নিলাম প্রক্রিয়া একসঙ্গেই চলবে। বিটিআরসির কাছে থাকা এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজের অব্যবহৃত ১০ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ এবং থ্রিজির ১৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ মোবাইল অপারেটরদের কাছে বিক্রির জন্য নিলামের কথা রয়েছে।
এই দুই কোম্পানি এক হলে তাদের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় চার কোটি, যা বাংলাদেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের এক-চতুর্থাংশ। পাঁচ কোটির বেশি গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোন আছে সবার উপরে। গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর দুই কোম্পানি থেকে বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম একীভূত করার সম্ভাবনার বিষয়ে একান্ত আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
রবির মালিকানা মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপের। অন্যদিকে এয়ারটেলের মালিক ভারতের ভারতি এয়ারটেল; তারা ওয়ারিদের ব্যবসা বাংলাদেশে কিনে নিয়েছিল।