এক সময় পক হানাদার বাহিনীর গল্প শুনে আমি খুব ভয় পেতাম,
বোকা ছেলের মত, মায়ের আচলে মুখ লুকাবার চেষ্টা করতাম।
বাবার মুখ থেকে শুনে ছিলাম-
সকাল বেলায় ঘুম ভাঙ্গত পাক হানাদার বাহিনির প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দে,
ভোরের হাওয়া গায়ে না লাগতেই পালানোর চেষ্টা করতো।
মনেপড়ে, সেই নৃশংস এক করুন দৃশ্যের কথা।
চোখ বেধেঁ বুকের উপর দাঁড়িয়ে ডুবার পাড়ে দাঁড় করিয়ে,
একেরপর এক গুলি ছুঁড়ে লাশের স্তুপ করে দিত।
রঙ তামাশায় মক্ত হয়ে, লাশের স্তুপের উপড় দাঁড়িয়ে,
হানাদার বাহিনি অট্রহাসি হাসত।
প্রতিশোধের নেশায় মক্ত হয়ে
টগবগিয়ে ফুটে উঠত আমার রক্ত।
স্পিত হয়ে দ্রুত গতিতে প্রতিটি শিরা-উপশিরায় প্রবাহিত হত,
পাক হানাদার বাহিনি তাড়ানোর এক প্রচন্ড বাসনায়।
বাংলা মায়ের মুখ থেকে হায়না মুক্ত করার এক প্রবল ইচ্ছায়,
মনে হচ্ছিল তখনি স্কুল ব্যাগ ছুড়ে ফেলে,
ছুটে চলে যায় রনাংঙ্গনে ,অংশগ্রহন করি মুক্তি বাহিনিতে।
সকল প্রকার জড়তা,ভীরুতার বৃও ভেঙ্গে।
আর তখন থেকেই আমি হয়ে যায়
স্বাধীনতাকামি হায়না মুক্তি পাগল।