ভালবাসা দিবসে ফুরফুরে মনের সঙ্গে পোশাকটাও নান্দনিক হওয়া চাই। আর সাজের ক্ষেত্রে প্রিয় মানুষটি কী পছন্দ করে, সেটা কিন্তু বিবেচনায় রাখতেই হবে। আপনার ভালবাসার মানুষটি আপনাকে কীভাবে দেখতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে, সে বিবেচনাটি মাথায় রাখবেন সবার শুরুতে।
অনেকে লালকে ভালবাসার রঙ বলে মানেন। তাই পোশাকের সঙ্গে লালের সম্মিলন রাখতে পারেন। জামাটি লাল হলে হাতব্যাগটাও লাল হতে পারে। শাড়ি পরার ধরনে বাঙালিয়ানা আনতে পারলে ভালো হয়। চাইলে তাজা ফুল জড়াতে পারেন চুলে বা হাতে। জিন্স, ফতুয়া, টপস, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে কপারের বড় বালা সুন্দর লাগবে। আবার পোশাকটা লাল হলে অনুষঙ্গ একদম বাদও দিতে পারেন।
দিনের শুরুতে চুল ধুয়ে কন্ডিশন করে নিন। খোলা চুলে ওয়েভ কার্ল, স্পাইরাল করে নিতে পারেন। চাইলে কপাল ঘেঁষে চিকন বেণি করে নিতে পারেন। পনিটেইল, ফ্রেঞ্চ বেণিও ভালো লাগবে। যারা শাড়ি পরবেন, তারা হাতখোঁপা করে নিতে পারেন। হরেক রকম চুলের কাঁটা গুঁজে খোঁপায় তুলুন নতুন ছন্দ। খেয়াল রাখবেন, চুল যেন সব সময় পরিষ্কার ও টিপটপ দেখায়। ব্যাগে পাঞ্চ ক্লিপ ও ব্রাশ রাখবেন।
1423368394পাশাপাশি ভালবাসা দিবসের মেকআপে চোখের সাজকে প্রাধান্য দিতে পারেন। চোখের স্মোকি সাজই চলছে এখন। তবে স্মোকি মানেই কালো নয়, তাতে যোগ হতে পারে হরেক রং। প্রথমে পানিরোধক কাজল চোখে টেনে নিন। শুধু কাজলরেখা ঘেঁষে সবুজ, বাদামি মেশান। নিচের পাতার ভেতরের অংশে ঘন কাজল দিয়ে নিচে বাদামি শ্যাডো টানুন। পাপড়িতে ঘন করে মাশকারা দিন। পুরো পাতায় শ্যাডো দিতে চাইলে কাজলের বদলে মোটা করে লাইনার টানুন। আর রাতের জন্য চোখে যেকোনো শ্যাডো পরতে পারেন। সে ক্ষেত্রে হাইলাইট হতে পারে সোনালি, বাদামি, রুপালি, পার্ল, তামাটে রঙের। চোখের কোণে একটু কালো শ্যাডো মিশিয়ে নিলেই গভীর হবে আপনার চোখের ভাষা। লেন্স পরতে পারেন। ত্বক বাদামি বা শ্যামলা হলে হ্যাজেল, বাদামি লেন্স ভালো মানাবে। ফরসা হলে বেছে নিন ছাই, নীল বা সবুজ রং। সারাদিনের জন্য ঠোঁট সাজাতে ফারজানা আরমানের পছন্দ পেন্সিল ম্যাট লিপস্টিক। দিন হোক আর রাত, লাল, কমলা কিংবা অন্য উজ্জ্বল রং আপনি বেছে নিতে পারেন।’