ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেব্রুয়ারিতেই পে-স্কেলে সংশোধন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • ৩৭৪ বার

সরকারি চাকুরেদের অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় ফেব্রুয়ারি মাসেই কিছু সংশোধন আনা হচ্ছে। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনবর্হালের যে দাবি ছিল তা পূরণ হচ্ছে না। অর্থাৎ ফিরছে না সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল।

তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ এ বেতম কাঠামো নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি ও ২৬ ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বেতন-ভাতা নিয়ে সৃষ্ট বৈষম্য দূরীকরণে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী, সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনবর্হাল না করা হলেও টাইমস্কেলের বদলে পদোন্নতির বিষয়ে কাজ করেছে কমিটি। এরসঙ্গে থাকতে পারে বিশেষ ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থাও। এছাড়া নতুন বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা তাদের মর্যাদাহানির যে অভিযোগ করে আসছিলেন, তার বিপরীতে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে কীভাবে তাদের পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যেতে পারে।

এই বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহালের আর কোনো সুযোগ না থাকায় মূলত প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশগুলোই পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আর তা করতে গিয়ে শিক্ষকদের মর্যাদাই সবার উপরে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কেউ যাতে বঞ্চিত না সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।

যে পরিবর্তন আসতে পারে
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বিলুপ্ত করায় শুরু থেকেই প্রতিবাদ এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মূলত দুর্নীতি রোধে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে এরপরও পেস্কেল নিয়ে অসন্তোষ থেকে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাতে সংশোধন আনা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত যে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে- টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের বিকল্প সুবিধা দিয়ে নির্ধারিত একটি সময়ের পর নবম থেকে তদুর্ধ চতুর্থ গ্রেডের কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল স্বয়ংক্রিয়ভাবে একধাপ এগোবে। এছাড়া কর্মচারীরা দুটি পদোন্নতির সুযোগ পেতে পারেন। জাতীয় অধ্যাপকদের বেতন নির্ধারিত হতে পারে সিনিয়র সচিবদের সমান।

এরআগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, অষ্টম গ্রেডের একজন কর্মকর্তা তিন বছর চাকরি করলে তার বেতন স্কেল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সপ্তম গ্রেডে চলে যাবে। একইভাবে এরপরের দুই বছরেও তার বেতনস্কেল এক গ্রেড করে উন্নীত হবে। আর ওই ব্যক্তি ১০ বছর চাকরি করার পর বেতন পাবেন চতুর্থ গ্রেডে। এই গ্রেডে ১২ বছর চাকরি করার পর তিনি বেতন পাবেন তৃতীয় গ্রেডে, তৃতীয় গ্রেডে ১৪ বছর চাকরি করার পর বেতন পাবেন দ্বিতীয় গ্রেডে। এরপর ১৭ বছর চাকরি করার পর ওই কর্মকর্তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রথম গ্রেডে উন্নীত হবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেব্রুয়ারিতেই পে-স্কেলে সংশোধন

আপডেট টাইম : ১১:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

সরকারি চাকুরেদের অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় ফেব্রুয়ারি মাসেই কিছু সংশোধন আনা হচ্ছে। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনবর্হালের যে দাবি ছিল তা পূরণ হচ্ছে না। অর্থাৎ ফিরছে না সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল।

তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ এ বেতম কাঠামো নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি ও ২৬ ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বেতন-ভাতা নিয়ে সৃষ্ট বৈষম্য দূরীকরণে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী, সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনবর্হাল না করা হলেও টাইমস্কেলের বদলে পদোন্নতির বিষয়ে কাজ করেছে কমিটি। এরসঙ্গে থাকতে পারে বিশেষ ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থাও। এছাড়া নতুন বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা তাদের মর্যাদাহানির যে অভিযোগ করে আসছিলেন, তার বিপরীতে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে কীভাবে তাদের পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যেতে পারে।

এই বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহালের আর কোনো সুযোগ না থাকায় মূলত প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশগুলোই পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আর তা করতে গিয়ে শিক্ষকদের মর্যাদাই সবার উপরে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কেউ যাতে বঞ্চিত না সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।

যে পরিবর্তন আসতে পারে
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বিলুপ্ত করায় শুরু থেকেই প্রতিবাদ এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মূলত দুর্নীতি রোধে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে এরপরও পেস্কেল নিয়ে অসন্তোষ থেকে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাতে সংশোধন আনা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত যে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে- টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের বিকল্প সুবিধা দিয়ে নির্ধারিত একটি সময়ের পর নবম থেকে তদুর্ধ চতুর্থ গ্রেডের কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল স্বয়ংক্রিয়ভাবে একধাপ এগোবে। এছাড়া কর্মচারীরা দুটি পদোন্নতির সুযোগ পেতে পারেন। জাতীয় অধ্যাপকদের বেতন নির্ধারিত হতে পারে সিনিয়র সচিবদের সমান।

এরআগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, অষ্টম গ্রেডের একজন কর্মকর্তা তিন বছর চাকরি করলে তার বেতন স্কেল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সপ্তম গ্রেডে চলে যাবে। একইভাবে এরপরের দুই বছরেও তার বেতনস্কেল এক গ্রেড করে উন্নীত হবে। আর ওই ব্যক্তি ১০ বছর চাকরি করার পর বেতন পাবেন চতুর্থ গ্রেডে। এই গ্রেডে ১২ বছর চাকরি করার পর তিনি বেতন পাবেন তৃতীয় গ্রেডে, তৃতীয় গ্রেডে ১৪ বছর চাকরি করার পর বেতন পাবেন দ্বিতীয় গ্রেডে। এরপর ১৭ বছর চাকরি করার পর ওই কর্মকর্তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রথম গ্রেডে উন্নীত হবেন।