হাওর বার্তা ডেস্কঃ চারটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ করলে ঢাকা থেকে বাসের চাপ কমে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টার দিকে বাস রুট রেশনালাইজেশনের ১৫তম সভা শেষে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
তাপস বলেন, আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ১০টি স্থান নির্বাচন করা হয়েছিল। এগুলো সরেজমিনে আমরা পরিদর্শন করেছি। সরেজমিনে পরিদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নির্ধারণ করেছি। উত্তরের জেলার বাসগুলোর জন্য বিরুলিয়ায় একটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। দ্বিতীয়ত হেমায়েতপুরে আরেকটি জায়গা নির্ধারণ করেছি বাস টার্মিনালের জন্য। ঢাকা দক্ষিণ সিটির জন্য কেরানীগঞ্জের বাঘাইর ও কাঁচপুরের উত্তরে আরও দু’টি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, এ চারটি জায়গায় আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে ঢাকা শহর থেকে বাসের চাপ কমে যাবে। সায়েদাবাদ ও গাবতলী টার্মিনালকে আমরা সিটি টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবো। বাকি চারটি টার্মিনাল ঢাকামুখী যানবাহনগুলোর জন্য ব্যবহার করতে পারবো। প্রাথমিকভাবে আমাদের এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছি। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত মন্ত্রী বরাবর সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। আশা করি অনতিবিলম্বে তারা কাজ শুরু করলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঘাটারচর টু মতিঝিল রুট মতিঝিল পর্যন্ত থাকলে তেমন ফলপ্রসূ নাও হতে পারে। তাই এ ঘাটারচর টু মতিঝিল রুট আরেকটু বাড়িয়ে কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত করছি। সুতরাং আমাদের এ রুট আরেকটু বাড়াবো। এ রুটের সঙ্গে জড়িত আনুষঙ্গিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রমও বর্ধিত করবো। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, বাস রুটের রেশনালাইজেশনে সার্বিক বিষয়ে আমাদের একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। আশা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার পরিবহন সমন্বয় কমিটি মালিকসহ অন্য অংশীজনদের নিয়ে নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করবেন।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ঢাকা টু মতিঝিল রুট আরেকটু বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৪টি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যার কিছু স্থানে বাস-বে হবে ও কিছু জায়গায় বাস স্টপেজ করা হবে। যেহেতু এখন রুট কাঁচপুর পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে তাই আরও কিছু স্থান বাড়বে।
তিনি বলেন, প্রতিমাসে আমরা সব প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করছি। দুই মেয়রের যে নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল যানজট নিরসনের, সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। অদূর ভবিষ্যতে সুন্দর যানজটমুক্ত ঢাকা শহর গড়ার লক্ষ্যে দুই মেয়র একসঙ্গে কাজ করছি।