আপনার কাছে যদি নগদ পাঁচ হাজার টাকা থাকে তাহলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর থেকেও এই মুহূর্তে আপনার পকেট ভারি। কেননা নরেন্দ্র মোদির কাছে এখন রয়েছে নগদ চার হাজার সাত শ টাকা।
তবে এরকম চিন্তা-ভাবনা থাকলে শুরুতেই ধাক্কা খেতে পারেন। একদিন চা বিক্রি করলেও মোদি বর্তমানে দেড় কোটি টাকার মালিক। প্রধানমন্ত্রীর দফতর বলছে, গত বছরের মার্চে মোদির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সিংহভাগই যদিও গাঁধীনগরে একটি বসতবাড়ির মূল্য।
গত ১৩ বছর যার দাম লাফিয়ে বেড়েছে প্রায় ২৫ গুণ। ২০০২ সালের ২৫ অক্টোবর কেনা এই বাড়ির জন্য জমি ও নির্মাণের খরচ প্রায় চার লক্ষ টাকার কাছাকাছি। বাজার মূল্য বেড়ে এখন যা কোটি টাকার সম্পত্তি। এই বাড়িরই চার ভাগের এক ভাগের মালিক মোদী।
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেই টাকা রাখতে বেশি পছন্দ করেন। গাঁধীনগরের কুর্সি ছেড়ে দিল্লির সাউথ ব্লকে তিনি জায়গা করেছেন ঠিকই, তবে এখনও দিল্লিতে কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই রাজধানীর সাত নম্বর রেসকোর্স রোডের বাসিন্দার। গুজরাতের ব্যাংকেই টাকা পড়ে রয়েছে তার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিটের অংক একত্রিশ লক্ষ টাকার থেকে কিছু কম। আরও প্রায় চুরানব্বই হাজার টাকা ওই ব্যাংকেই রয়েছে। বেসরকারি পরিকাঠামো বন্ডেও বিশ হাজার টাকা রেখেছেন মোদি। পাঁচ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, প্রায় দু লাখ টাকার জীবনবিমাও রয়েছে মোদির।
এছাড়া মোদির কাছে চারটি সোনার আংটি রয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় এক লাখ উনিশ হাজার টাকা। তবে তার কোনো গাড়ি বা জমি নেই।
এটা তো গেল শুধু নরেন্দ্র মোদির নিজের সম্পদের হিসেব। কিন্তু তার স্ত্রী যশোদাবেনের কত সম্পদ রয়েছে, তা জানেন না মোদি। এবারই নির্বাচন কমিশনে হলফনামা দিয়ে যশোদাবেনকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়েছেন মোদি। তারপরেও যদিও নিজের নিরাপত্তা নিয়ে হাজারো প্রশ্ন করতে ছাড়ছেন না প্রধানমন্ত্রী-পত্নী। কিন্তু স্ত্রীর সম্পদের হিসেবের পাতা এবার সাদাই রেখেছেন মোদি।