ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনীতিতে একজন মির্জা ফখরুল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • ৩৩২ বার

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। মির্জা ফখরুল মূলত বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন, যে পদে তিনি দলের ৫ম জাতীয় সম্মেলনে মনোনীত হন।

২০১১ সালের মার্চে দলের মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেন মৃত্যুবরণ করলে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন। মির্জা ফখরুল এর আগে কৃষি, পর্যটন ও বেসরকারী বিমান চলাচল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

প্রাথমিক জীবন-
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৯৪৮ সালের ১ আগস্ট তারিখে ঠাকুরগাঁও জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মির্জা রুহুল আমিন একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ ছিলেন, যিনি ঐ অঞ্চলের একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। মির্জা ফখরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক (সন্মান) ডিগ্রী অর্জন করেছেন। ছাত্রজীবনের সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত হলেও কর্মজীবনের শুরুতে তিনি শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন ও একাধিক সরকারী কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি ১৯৮০-র দশকে তিনি মূলধারার রাজনীতিতে আসেন। মির্জা ফখরুল তৎকালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী এস.এ. বারির ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যে পদে তিনি ১৯৮২ সালে এস.এ. বারির পদত্যাগ পর্যন্ত বহাল ছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন ছাত্র রাজনীতি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (অধুনা বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) একজন সদস্য ছিলেন এবং সংগঠনটির এস.এম. হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সময়ে তিনি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন।

শিক্ষকতা ও অন্যান্য সরকারী দায়িত্ব
১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে মির্জা ফখরুল অধ্যাপনাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। অন্যান্য সরকারী দায়িত্বের মধ্যে মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ সরকারের পরিদর্শন ও আয়-ব্যায় পরীক্ষণ অধিদপ্তরে একজন অডিটর হিসেবে কাজ করেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রশাসনের অধীনে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী এস.এ. বারির একজন ব্যাক্তিগত সচিব ছিলেন, যে পদে তিনি ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বহাল ছিলেন। এস.এ. বারি উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করার পর মির্জা ফখরুল তার শিক্ষকতা পেশায় ফিরে যান, এবং ১৯৮৬ পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সরকারী কলেজে অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করেন।

রাজনীতিতে প্রবেশ
১৯৮৬ সালে পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মির্জা ফখরুল তার শিক্ষকতা পেশা থেকে অব্যাহতি নেন এবং সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি সফল নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে ১৯৮৮ সালের পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেন এবং ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেনারেল এরশাদের সামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যখন দেশব্যাপী আন্দোলন চলছে, তখন মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-তে যোগদান করেন। ১৯৯২ সালে মির্জা ফখরুল ঠাকুরগাঁও বিএনপির সভাপতি মনোনীত হন।

সংসদ নির্বাচন ও মন্ত্রীত্ব
মির্জা ফখরুল ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পান। নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী খাদেমুল ইসলামের কাছে হেরে যান। ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান এবং আবারও আওয়ামী লীগের খাদেমুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন। তবে এবারের পরাজয়ের ব্যবধান ছিল সামান্য। খাদেমুল ইসলাম পেয়েছিলেন প্রায় ৫১ শতাংশ ভোট, এবং মির্জা ফখরুল পান ৪৭ শতাংশ। মির্জা ফখরুল ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের রমেশ চন্দ্র সেনের সাথে প্রতিযোগীতা করেন, এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। মির্জা ফখরুল এবার পেয়েছিলেন ১৩৪,৯১০ ভোট, যা রমেশ চন্দ্র সেনের ভোটের চেয়ে ৩৭,৯৬২ বেশি ছিল। ২০০১ সালের নভেম্বরে নবনির্বাচিত বিএনপি সরকার তার মন্ত্রীসভা ঘোষণা করলে মির্জা ফখরুল সেখানে কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। পরে মন্ত্রীসভায় পরিবর্তন আনা হলে মির্জা ফখরুল বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর পদ লাভ করেন, যেটিতে তিনি ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বহাল ছিলেন। মির্জা ফখরুল ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের রমেশ চন্দ্র সেনের কাছে স্বল্প ব্যবধানে পরাজিত হন।

বিএনপির ৫ম জাতীয় সম্মেলন
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে বিএনপির ৫ম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে বিএনপির যেসব নেতা গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন বলে আশা করা হয়েছিল, তাদের একজন ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্মেলনে মির্জা ফখরুলকে বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব পদে মনোনীত করা হয়। এই পদটিতে এর আগে তারেক রহমান বহাল ছিলেন। তারেক রহমান এই সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ লাভ করেন। নতুন পদ পাওয়ার পর মির্জা ফখরুল বিএনপির কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে গভীর ভাবে সক্রিয় হন। তিনি দলের উল্লেখযোগ্য মুখপাত্রে পরিণত হন ও জাতীয় গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদানের ফলে দেশব্যাপী পরিচিত মুখে পরিণত হন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব
২০১১ সালের মার্চে বিএনপির মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেন মৃত্যুবরণ করলে চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ঘোষণা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রাজনীতিতে একজন মির্জা ফখরুল

আপডেট টাইম : ১০:৩২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। মির্জা ফখরুল মূলত বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন, যে পদে তিনি দলের ৫ম জাতীয় সম্মেলনে মনোনীত হন।

২০১১ সালের মার্চে দলের মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেন মৃত্যুবরণ করলে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন। মির্জা ফখরুল এর আগে কৃষি, পর্যটন ও বেসরকারী বিমান চলাচল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

প্রাথমিক জীবন-
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৯৪৮ সালের ১ আগস্ট তারিখে ঠাকুরগাঁও জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মির্জা রুহুল আমিন একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ ছিলেন, যিনি ঐ অঞ্চলের একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। মির্জা ফখরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক (সন্মান) ডিগ্রী অর্জন করেছেন। ছাত্রজীবনের সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত হলেও কর্মজীবনের শুরুতে তিনি শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন ও একাধিক সরকারী কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি ১৯৮০-র দশকে তিনি মূলধারার রাজনীতিতে আসেন। মির্জা ফখরুল তৎকালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী এস.এ. বারির ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যে পদে তিনি ১৯৮২ সালে এস.এ. বারির পদত্যাগ পর্যন্ত বহাল ছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন ছাত্র রাজনীতি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (অধুনা বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) একজন সদস্য ছিলেন এবং সংগঠনটির এস.এম. হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সময়ে তিনি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন।

শিক্ষকতা ও অন্যান্য সরকারী দায়িত্ব
১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে মির্জা ফখরুল অধ্যাপনাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। অন্যান্য সরকারী দায়িত্বের মধ্যে মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ সরকারের পরিদর্শন ও আয়-ব্যায় পরীক্ষণ অধিদপ্তরে একজন অডিটর হিসেবে কাজ করেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রশাসনের অধীনে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী এস.এ. বারির একজন ব্যাক্তিগত সচিব ছিলেন, যে পদে তিনি ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বহাল ছিলেন। এস.এ. বারি উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করার পর মির্জা ফখরুল তার শিক্ষকতা পেশায় ফিরে যান, এবং ১৯৮৬ পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সরকারী কলেজে অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করেন।

রাজনীতিতে প্রবেশ
১৯৮৬ সালে পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মির্জা ফখরুল তার শিক্ষকতা পেশা থেকে অব্যাহতি নেন এবং সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি সফল নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে ১৯৮৮ সালের পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেন এবং ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেনারেল এরশাদের সামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যখন দেশব্যাপী আন্দোলন চলছে, তখন মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-তে যোগদান করেন। ১৯৯২ সালে মির্জা ফখরুল ঠাকুরগাঁও বিএনপির সভাপতি মনোনীত হন।

সংসদ নির্বাচন ও মন্ত্রীত্ব
মির্জা ফখরুল ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পান। নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী খাদেমুল ইসলামের কাছে হেরে যান। ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান এবং আবারও আওয়ামী লীগের খাদেমুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন। তবে এবারের পরাজয়ের ব্যবধান ছিল সামান্য। খাদেমুল ইসলাম পেয়েছিলেন প্রায় ৫১ শতাংশ ভোট, এবং মির্জা ফখরুল পান ৪৭ শতাংশ। মির্জা ফখরুল ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের রমেশ চন্দ্র সেনের সাথে প্রতিযোগীতা করেন, এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। মির্জা ফখরুল এবার পেয়েছিলেন ১৩৪,৯১০ ভোট, যা রমেশ চন্দ্র সেনের ভোটের চেয়ে ৩৭,৯৬২ বেশি ছিল। ২০০১ সালের নভেম্বরে নবনির্বাচিত বিএনপি সরকার তার মন্ত্রীসভা ঘোষণা করলে মির্জা ফখরুল সেখানে কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। পরে মন্ত্রীসভায় পরিবর্তন আনা হলে মির্জা ফখরুল বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর পদ লাভ করেন, যেটিতে তিনি ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বহাল ছিলেন। মির্জা ফখরুল ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের রমেশ চন্দ্র সেনের কাছে স্বল্প ব্যবধানে পরাজিত হন।

বিএনপির ৫ম জাতীয় সম্মেলন
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে বিএনপির ৫ম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে বিএনপির যেসব নেতা গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন বলে আশা করা হয়েছিল, তাদের একজন ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্মেলনে মির্জা ফখরুলকে বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব পদে মনোনীত করা হয়। এই পদটিতে এর আগে তারেক রহমান বহাল ছিলেন। তারেক রহমান এই সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ লাভ করেন। নতুন পদ পাওয়ার পর মির্জা ফখরুল বিএনপির কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে গভীর ভাবে সক্রিয় হন। তিনি দলের উল্লেখযোগ্য মুখপাত্রে পরিণত হন ও জাতীয় গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদানের ফলে দেশব্যাপী পরিচিত মুখে পরিণত হন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব
২০১১ সালের মার্চে বিএনপির মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেন মৃত্যুবরণ করলে চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ঘোষণা করেন।