দলীয় প্রতীকে এবারই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। তাই ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন অন্য দলের নেতারাও। এক্ষেত্রে কৌশলী ভূমিকা পালন করছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশিরা।
বিশেষ করে বিগত ইউপি নির্বাচনে পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া উপজেলার ২৪০ ইউনিয়নের মধ্যে সাতটিতে বিএনপি জয়ী হলেও এবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঠিক না হলেও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় পাইকগাছার ১০টি ইউনিয়নের সম্ভাব্য ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অপরদিকে ডুমুরিয়ায় চেয়েছেন ৫২ জন।
পাইকাগাছায় বিএনপির সমর্থনে নির্বাচিত গতবারের সাতজন চেয়ারম্যানের মধ্যে দু’জন ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন এবং অন্য একজন যোগদানের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী মার্চে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদটি দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হবে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করলেও পরবর্তীতে গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু ও চাঁদখালীর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুনছুর আলী গাজী আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এছাড়া লস্কারের চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামন তুহিন আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য জোর তৎপরতা শুরু করেছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে দুই একদিনের মধ্যে হয়তো তুহিন আওয়ামী লীগে যোগদান করবেন।
এ পর্যন্ত বিএনপির দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ১নং হরিঢালী ইউনিয়নে থানা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক শেখ আমিনুল ইসলাম, ২নং কপিলমুনি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু, যুবদল নেতা শেখ শামছুল আলম পিন্টু, ৩নং লতায় ইউপি সদস্য ও থানা মহিলা দলের আহ্বায়ক লক্ষী রাণী মন্ডল, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম গাজী, থানা কৃষকদলের সহ-সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাহার। ৪নং দেলুটীতে সুজিত কুমার মন্ডল ও এড. সৌরেন্দ্রনাথ মন্ডল, ৫নং সোলাদানায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এস, এম এনামুল হক, ৬নং লস্কর ইউনিয়ন থেকে কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি।
৭নং গদাইপুর থেকে থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জামশেদ হোসেন। ৮নং রাড়ুলী থেকে ইউপি সদস্য আ. সাত্তার মোড়ল, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি বাবু সামাদ। ৯নং চাঁদখালী থেকে সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা মুক্তিযোদ্ধা জোয়াদুর রসুল বাবু, বিএনপি নেতা মোল্লা মনিরুল ইসলাম ও মো. ফরিদ হোসেন এবং ১০নং গড়ইখালী থেকে সাবেক জেলা ছাত্রদল নেতা কলিঙ্গ রাজ মন্ডল।
অপরদিকে, ডুমুরিয়া উপজেলার ১নং ধামালিয়া ইউনিয়নের দলের মনোনয়ন পেতে জহুরুল হক ও এস এম হুমায়ুন কবির মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অনুরূপভাবে ২নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নে গাজী তফসির আহমেদ শামীম ৩নং রুদাঘরা ইউনিয়নে জি এম আমানুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম ওরফে ইসলাম মাস্টার, আশিকুর রহমান, ৪নং খর্ণিয়া ইউনিয়নে শেখ দিদার হোসেন দিদার, আবুল কাশেম মোল্লা, এফ এম রফিকুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, ৫নং আটলিয়া ইউনিয়নের বদরুজ্জামান তসলিম, এম এম সালাম মহালদার, আমিনুল ইসলাম মোড়ল, মাহাবুব আলম, মো. মনিরুল হক, ৬নং মাগুরাঘোনা ইউনিয়নে আবুল কালাম শামসউদ্দীন, আব্দুল মালেক, শাহাদাৎ হোসেন, শাহিদুজ্জামান শহিদ, নজরুল ইসলাম মোড়ল, মাওলানা নজরুল ইসলাম, আইয়ুব মাহমুদ, শরিফ সরদার, শফিকুল ইসলাম, ৭নং শোভনা ইউনিয়নে শেখ মতিয়ার রহমান বাচ্চু, শেখ হাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান লিটন, শেখ আ. গফফার, এস এম আনোয়ার হোসেন, ৮নং শরাফপুর ইউনিয়নে হেমায়েত রশিদ খান, শেখ শাহানুর ইসলাম, মোল্লা হুমায়ুন কবির, খান মিজানুর রহমান, আজমল হুদা মিঠু, খান রাজু আহমেদ।
৯নং সাহস ইউনিয়নে মোল্লা মাহাবুর রহমান, শেখ জয়নাল আবেদীন, সরদার মোজাফফার হোসেন, শেখ মশিউর রহমান লিটন, ১০নং ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নে মোল্লা কবির হোসেন, শেখ শাহিনুর রহমান, মোল্লা ইকরামুল হোসেন, ১১নং ডুমুরিয়া সদরে শুধুমাত্র মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, ১২নং রংপুর ইউনিয়নে পঞ্চরাম বিশ্বাস, শিশির বসাক, উল্লাস বিশ্বাস, অনিমেশ বালা, ১৩নং গুটুদিয়া ইউনিয়নে মাও. খলিলুর রহমান, জি এম সাইফুল ইসলাম, মহসিন বিশ্বাস ও ১৪নং মাগুরখালী ইউনিয়নে একমাত্র আগ্রহী প্রার্থী অরুন কুমার গোলদার মনোয়নপত্র গ্রহণ ও জমা দিয়েছেন। এখন প্রতীক্ষার পালা কার নাম আসবে দলের নীতি নির্ধারকদের নামের তালিকায়।