হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাবমার্সেবল বা ডুবো সড়কের কল্যাণে শুকনো মৌসুমে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সাথে হাওরের মিঠামইন উপজেলা সদরে যোগাযোগ এখন সড়ক পথেই রক্ষা করা যাচ্ছে। ফলে হাওরের তিন উপজেলা মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও ইটনা থেকে কেবল জেলা সদর নয় জেলা সদর কিশোরগঞ্জ হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতেও এই রুটটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।
সড়ক পথে এই যোগাযোগ রক্ষার জন্য পথে মিঠামইন উপজেলার পাশে ঘোড়াউত্রা নদী ও করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলায় নাকচিনি নদীতে সড়ক ও জনপদের দুটি ফেরি রয়েছে। কিন্তু শুকনো মৌসুমে ডুবো সড়কে যান চলাচল শুরু হলেও ফেরি দুটি এখনও চালু করা হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে জেলা সদর কিশোরগঞ্জ যেতে তিনবার যানবাহন পরিবর্তন করতে হচ্ছে। এ কারণে যাত্রী সাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, ফেরি চালু না হওয়ায় পণ্যবাহী যানবাহন, সিএনজি, অটোরিকশা, প্রাইভেট কার কিংবা মাইক্রোবাসের মতো কোন যানবাহনই নদীর এপার-ওপার হতে পারছে না।
মিঠামইন থেকে ঘোড়াউত্রা নদী পাড় হয়ে সিএনজি, অটোরিকশা অথবা মোটর সাইকেলে করে চংনোয়াগাঁও ফেরি ঘাটে যেতে হচ্ছে। সেখান থেকে পরে নাকচিনি নদী পার হয়ে বালিখলা গিয়ে পুনরায় কোন যানবাহনে করে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে যেতে হচ্ছে।
যাত্রীরা জানান, এতে করে সময় ও অর্থ দুটোই অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদের ফেরির চালকরা জানান, উপরের নির্দেশ ছাড়া আমরা ফেরি চলাচল করতে পারবো না। শুধুমাত্র সরকারি কোন জরুরী কাজে যানবাহন পারাপার করে যাচ্ছি। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) ফেরি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।