হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরকীয়ার বলি শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর)। ঢাকার বিশেষ জজ-৪ শেখ নাজমুল আলমের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
গত ২৩ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে একই আদালত রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ফারুক উজ্জামান ভূঁইয়া (টিপু) বলেন, মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড চেয়েছি। আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডই হবে।
মামলাটিতে শিশু সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা জামিনে ছিলেন। সর্বশেষ তারিখে তিনি আদালতে হাজির হননি। আদালত জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আর এশার পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু (৪৩) পলাতক রয়েছেন।
পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় ২০১০ সালের ২৩ জুন প্রথমে সামিউলকে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ গুম করতে ফ্রিজে ঢুকানো হয়। পরে মরদেহটি বস্তায় ঢুকিয়ে ২০১০ সালের ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। সামিউল রাজধানীর মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিংয়ের গ্রিনউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংলিশ মিডিয়ামে প্লে-গ্রুপের ছাত্র ছিল।
গত ২৪ জুন সামিউলের মরদেহ আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে ২৪ জুন আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় এশা ও বাক্কু উভয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটিতে ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।