ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • ২২৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সৈয়দ আতিকুর রহমানের মরদেহ পড়েছিল, সেখান থেকে আতিকের মোটরসাইকেল ছাড়াও আরেকটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তা ছাড়া আতিকের পরনের বেল্ট খোলা অবস্থায় পাশে পড়েছিল। এতে মনে হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আত্মীয় স্বজন দাবি করেন।
কিশোরগঞ্জের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সৈয়দ আতিকুর রহমানের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্বজনদের সন্দেহ, নিছক সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলের আলামত দেখে স্বজনদের সন্দেহ হয়। এ কারণে তাদের অনুরোধে সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
আতিকের স্ত্রীর বড় ভাই জসিম উদ্দিন তুহিন নিউজবাংলাকে জানান, যেখানে আতিকের মরদেহ পড়েছিল, সেখান থেকে আতিকের মোটরসাইকেল ছাড়াও আরেকটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তা ছাড়া আতিকের পরনের বেল্ট খোলা অবস্থায় পাশে পড়েছিল। এসব দেখে তাদের সন্দেহ হয়, নিছক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি আতিকের।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে অন্য যে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি সাইফুল ইসলাম নামের এক জন চালাচ্ছিলেন। তার বাড়ি করিমগঞ্জ উপজেলার পুরান চামটা গ্রামে। তিনি পলাতক। সাইফুলকে পাওয়া গেলে আতিকের মৃত্যুর রহস্য সহজে উদ্‌ঘাটন করা যাবে।
সিভিল সার্জন মুজিবুর রহমান জানান, তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড আতিকের লাশের ময়নাতদন্ত করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তিনি বলেন, ‘ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়া গেলে আতিকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
আতিক ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাড়ি কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া এলাকায়।
রোববার সকালে তিনি মোটরসাইকেলে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে করিমগঞ্জ উপজেলার মনসন্তোষ এলাকায় কিশোরগঞ্জ-চামটা সড়কের পাশ থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে করিমগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক আতিককে মৃত ঘোষণা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আপডেট টাইম : ১০:৪৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সৈয়দ আতিকুর রহমানের মরদেহ পড়েছিল, সেখান থেকে আতিকের মোটরসাইকেল ছাড়াও আরেকটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তা ছাড়া আতিকের পরনের বেল্ট খোলা অবস্থায় পাশে পড়েছিল। এতে মনে হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আত্মীয় স্বজন দাবি করেন।
কিশোরগঞ্জের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সৈয়দ আতিকুর রহমানের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্বজনদের সন্দেহ, নিছক সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলের আলামত দেখে স্বজনদের সন্দেহ হয়। এ কারণে তাদের অনুরোধে সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
আতিকের স্ত্রীর বড় ভাই জসিম উদ্দিন তুহিন নিউজবাংলাকে জানান, যেখানে আতিকের মরদেহ পড়েছিল, সেখান থেকে আতিকের মোটরসাইকেল ছাড়াও আরেকটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তা ছাড়া আতিকের পরনের বেল্ট খোলা অবস্থায় পাশে পড়েছিল। এসব দেখে তাদের সন্দেহ হয়, নিছক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি আতিকের।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে অন্য যে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি সাইফুল ইসলাম নামের এক জন চালাচ্ছিলেন। তার বাড়ি করিমগঞ্জ উপজেলার পুরান চামটা গ্রামে। তিনি পলাতক। সাইফুলকে পাওয়া গেলে আতিকের মৃত্যুর রহস্য সহজে উদ্‌ঘাটন করা যাবে।
সিভিল সার্জন মুজিবুর রহমান জানান, তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড আতিকের লাশের ময়নাতদন্ত করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তিনি বলেন, ‘ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়া গেলে আতিকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
আতিক ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাড়ি কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া এলাকায়।
রোববার সকালে তিনি মোটরসাইকেলে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে করিমগঞ্জ উপজেলার মনসন্তোষ এলাকায় কিশোরগঞ্জ-চামটা সড়কের পাশ থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে করিমগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক আতিককে মৃত ঘোষণা করেন।