হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এসময় মাঝ পদ্মায় যানবাহন ও যাত্রীসহ কয়েকটি ফেরি আটকা পড়েছে।
ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে পারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত যানবাহন। ফলে প্রচণ্ড কুয়াশার মধ্যে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
জানা গেছে, আজ রবিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় ফেরির দিক নির্দেশক বাতি অস্পষ্ট হয়ে আসে। একপর্যায়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি)। এসময় মানুষ ও যাত্রী নিয়ে মাঝপদ্মায় নোঙর করে রাখা হয় তিনটি ফেরি।
বিআইডাব্লিউটিসি পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টের বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল বলেন, নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কুয়াশা কমে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এদিকে, একই কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটেও ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। আজ রবিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা থেকে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল ৭টা থেকে লঞ্চ চলাচল করলেও ঘন কুয়াশার কারণে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিআইডাব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেলে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নৌরুট ঝাপসা হয়ে আসে। ফলে দিক নির্দেশক বাতি অস্পষ্ট হয়ে যায়। একপর্যায়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। ঘন কুয়াশার কারণে ফেরির পাশাপাশি লঞ্চ ও স্পিডবোটও বন্ধ রয়েছে বলে বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে।
বিআইডাব্লিউটিসির মেরিন কর্মকর্তা (শিমুলিয়া ঘাট) আহমদ আলী বলেন, ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ফেরি বন্ধ রয়েছে। কুয়াশা কেটে গেলে পুনরায় স্বাভাবিক করা হবে ফেরি চলাচল।