ঢাকা ০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশে ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি করা হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০১৬
  • ৪১০ বার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয়। তাই আমরা পুলিশে আরও ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীতে রাজারবাগ পুলিশলাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে প্যারেড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাত বছরে আমরা পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে ৭৩৯টি ক্যাডার পদসহ ৩২ হাজার ৩১টি পদ সৃষ্টি করেছি। এ সত্ত্বেও দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয়। তাই আমরা আরও ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে ২৭৭টি ক্যাডার পদসহ ১৩ হাজার ৫৫৮টি পদে পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম পুলিশ সপ্তাহ পালন করা হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার প্রতীক। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রদান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশের প্রতিটি সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর এসব করতে গিয়ে অনেক সময়ই তাদের জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। বিএনপি-জামাত-শিবিরের সহিংসতা ও জঙ্গীবাদ মোকাবিলায় ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২৬ জন বীর সদস্য জীবন দিয়েছেন। যার মধ্যে ২১ জন পুলিশ সদস্য।

এদিকে, বীরত্ব ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১১০ জন পুলিশ সদস্যকে বিভিন্ন পদকে ভূষিত করা হয়েছে। পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব পদক পরিয়ে দেন।

এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ পদক সাহসিকতা, রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক সাহসিকতা, বাংলাদেশ পুলিশ পদক সেবা ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক সেবা। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশকে মরনোত্তর পদক প্রদান করা হয়।

মরনোত্তর পদক প্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পেশাগত দায়িত্বপালনকালে নিহত পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের কষ্টের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সান্ত্বনা দেন।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পুলিশলাইন্সে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহিদুল হক প্রধানমন্ত্রী অভ্যর্থনা জানান।

প্যারেড ময়দানে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে সশ্রস্ত্র সালাম জানান পুলিশ সদস্যরা। সালাম গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী খোলা জীপে প্যারেড পরিদর্শন করেন।

এরপর দৃষ্টিনন্দন কুচকাওয়াজের মাধ্যমে পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান।

প্যারেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। প্যারেডে কমান্ডার হিসেবে এবারই প্রথম কোন নারী দায়িত্ব পালন করলেন। শামসুন্নাহার চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।

** ‘সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সুনাম বয়ে আনছে পুলিশ’
** সন্ত্রাস দমনে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট গঠনের কাজ চলছে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশে ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি করা হবে

আপডেট টাইম : ১১:৩১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০১৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয়। তাই আমরা পুলিশে আরও ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীতে রাজারবাগ পুলিশলাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে প্যারেড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাত বছরে আমরা পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে ৭৩৯টি ক্যাডার পদসহ ৩২ হাজার ৩১টি পদ সৃষ্টি করেছি। এ সত্ত্বেও দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয়। তাই আমরা আরও ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে ২৭৭টি ক্যাডার পদসহ ১৩ হাজার ৫৫৮টি পদে পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম পুলিশ সপ্তাহ পালন করা হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার প্রতীক। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রদান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশের প্রতিটি সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর এসব করতে গিয়ে অনেক সময়ই তাদের জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। বিএনপি-জামাত-শিবিরের সহিংসতা ও জঙ্গীবাদ মোকাবিলায় ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২৬ জন বীর সদস্য জীবন দিয়েছেন। যার মধ্যে ২১ জন পুলিশ সদস্য।

এদিকে, বীরত্ব ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১১০ জন পুলিশ সদস্যকে বিভিন্ন পদকে ভূষিত করা হয়েছে। পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব পদক পরিয়ে দেন।

এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ পদক সাহসিকতা, রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক সাহসিকতা, বাংলাদেশ পুলিশ পদক সেবা ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক সেবা। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশকে মরনোত্তর পদক প্রদান করা হয়।

মরনোত্তর পদক প্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পেশাগত দায়িত্বপালনকালে নিহত পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের কষ্টের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সান্ত্বনা দেন।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পুলিশলাইন্সে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহিদুল হক প্রধানমন্ত্রী অভ্যর্থনা জানান।

প্যারেড ময়দানে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে সশ্রস্ত্র সালাম জানান পুলিশ সদস্যরা। সালাম গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী খোলা জীপে প্যারেড পরিদর্শন করেন।

এরপর দৃষ্টিনন্দন কুচকাওয়াজের মাধ্যমে পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান।

প্যারেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। প্যারেডে কমান্ডার হিসেবে এবারই প্রথম কোন নারী দায়িত্ব পালন করলেন। শামসুন্নাহার চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।

** ‘সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সুনাম বয়ে আনছে পুলিশ’
** সন্ত্রাস দমনে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট গঠনের কাজ চলছে