ধনু নদীতে ভীম জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকারে নৌযান চলাচল বিঘ্নিত

বিজয় দাস নেত্রকোনাঃ অহরহ নৌ দুর্ঘটনার পরও নেত্রকোনার হাওর অঞ্চল খালিয়াজুরীর  ধনু নদীতে  অবৈধ ভীম জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ হচ্ছে না। সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালত কয়েক  লক্ষ টাকার জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দিলেও এ জালের ব্যবহার কমছে না। নৌ-পথে এ জাল ফেলে মৎস্য আহরণ করায় তা বিভিন্ন নৌযান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

সরেজমিনে দেখা মেলে উপজেলার গাগলাজুর, চাকুয়া, মেন্দিপুর, খালিয়াজুরী সদর ও গাজীপুর ইউনিয়নের ধনু নদীর বিভিন্ন অংশে মৎস্যজীবিরা অবৈধভাবে অসংখ্য ভীম জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন। নদীর পাড় থেকে মাঝখান পর্যন্ত এ জাল ফেলে নদী-যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।

এতে করে নৌ-পথে যাতায়াতকারী মালবাহী বাল্কহেড ও ছোট-বড় ইঞ্জিন চালিত নৌ-যানের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। প্রায় শুনা যায় ইঞ্জিন চালিত নৌ-যানের পাখার সাথে জাল ছিড়ে যাওয়া ঘটনা নিয়ে জালের মালিক পক্ষ ও নৌ-যানের লোকজনের সাথে তর্ক-বিতর্ক ও গন্ডগোল। এ সময় মৎস্যজীবিদের সাথে কথা বলতে চাইলেও তারা কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এর মধ্যে গত নভেম্বর মাসেই খালিয়াজুরী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচএম আরিফুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ভীম জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দিয়েছেন। তারপরও নদীতে নৌ-যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বন্ধ করা যাচ্ছে না এ জালের ব্যবহার।

এ বিষয়ে ইউএনও এএইচএম আরিফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যখন ভ্রাম্যমাণ আদালত এক প্রান্ত থেকে অভিযান শুরু করে পরে দেখা যায় অন্যান্য প্রান্তে সকলে সতর্ক হয়ে যায়।

কাজের ব্যস্ততায় সব সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যায় না। এর মধ্যেও অভিযান পরিচালনা করেছি। এ সপ্তাহে আরও অভিযান পরিচালিত হবে এবং তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

 

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর