মোস্তাকিম ফারুকীঃ হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিতর্কিত কর্মকান্ড যথা কমিটি স্হগিত এবং স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এর রেশ না কাটতেই এবার উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কমিটি বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
হবিগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর উপজেলার অন্তর্গত ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিতর্ক ও মোটা অংকের টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে শিবির কর্মীকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। খবর নিয়ে জানা যায় উপজেলা ছাত্রলীগের অছাত্র ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি আনু মো. সুমন ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল পাঠান বুধবার রাতে প্রেস নোটিশের মাধ্যমে উপজেলার ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নের কমিটি গঠন করে। যেখানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে বিতর্কিত শিবিরের কর্মীকে।
এ নিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়নের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা যায় উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি নির্বাচিত হওয়ার ১ বছর পর ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে যেখানে সভাপতি হয় তৌসিফ আহমেদ বাবলু এবং সাধারণ সম্পাদক হয় তাপস আহমেদ কিন্তু একই উপজেলা কমিটি কি করে পূণরায় কমিটি প্রদান করে এ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই। তারা বলছে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যদি আহবায়ক কমিটি দেওয়া হয় তাহলেই তারা সম্মেলন করে পরবর্তীতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়ে কমিটি গঠন করতে পারে।
এক্ষেত্রে যা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্থী উল্লেখ করে অভিযোগ করে তারা। এছাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অনেক নেতা বলছে উপজেলা ছাত্রলীগ টাকার বিনিময়ে শিবির কর্মীকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বানিয়েছেন যা অত্যন্ত ঘৃণিত ও লজ্জা জনক কাজ। তারা বলেন বঙ্গবন্ধুর আত্মাও আজ ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে এসব অপকর্ম দেখে। তারা অনতিবিলম্বে এই কমিটির বিলুপ্তি চায় অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের যাওয়ার কথা ব্যক্ত করেন। তারা বলেন রাতের আধারে টাকার বিনিময়ে গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে শিবির কর্মীকে ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।