ঢাকা ০১:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্ত্র-মাদক মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ৭ জানুয়ারি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০
  • ২৩০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য ৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের অস্ত্র মামলায় ও ঢাকা ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার মাদক মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এ দিন দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। মাদক মামলায় গ্রেফতার সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু সম্রাট অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় আদালতে হাজির করা হয়নি। এ জন্য রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করে। বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অস্ত্র ও মাদক মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেন। এরপর বিচারক দুই মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

মাদক মামলায় সম্রাটের পাশাপাশি তার সহযোগী যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানও আসামি হিসেবে কারাগারে।

গত ৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অস্ত্র মামলায় চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক।

অস্ত্র মামলার চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, সম্রাটের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র নিজ হেফাজতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখায় তার বিরুদ্ধে আনা অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মাদক আইনে করা মামলায় সম্রাট ও এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপপরিদর্শক আবদুল হালিম।

উল্লেখ্য, গত বছর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেফতার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের। এসবের মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর রাতে তার গ্রেফতার হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

পরদিন ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তার সঙ্গে আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

৬ অক্টোবর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তৎকালীন র‍্যাবের এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া র‌্যাব-১ বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। দুই মামলার বাদী র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক।

৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অস্ত্র মামলায় চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি সম্রাট। তিনি লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র নিজ হেফাজতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখায় তার বিরুদ্ধে আনা অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মাদক আইনে করা মামলায় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপপরিদর্শক আবদুল হালিম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অস্ত্র-মাদক মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ৭ জানুয়ারি

আপডেট টাইম : ০৬:১১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য ৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের অস্ত্র মামলায় ও ঢাকা ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার মাদক মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এ দিন দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। মাদক মামলায় গ্রেফতার সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু সম্রাট অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় আদালতে হাজির করা হয়নি। এ জন্য রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করে। বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অস্ত্র ও মাদক মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেন। এরপর বিচারক দুই মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

মাদক মামলায় সম্রাটের পাশাপাশি তার সহযোগী যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানও আসামি হিসেবে কারাগারে।

গত ৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অস্ত্র মামলায় চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক।

অস্ত্র মামলার চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, সম্রাটের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র নিজ হেফাজতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখায় তার বিরুদ্ধে আনা অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মাদক আইনে করা মামলায় সম্রাট ও এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপপরিদর্শক আবদুল হালিম।

উল্লেখ্য, গত বছর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেফতার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের। এসবের মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর রাতে তার গ্রেফতার হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

পরদিন ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তার সঙ্গে আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

৬ অক্টোবর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তৎকালীন র‍্যাবের এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া র‌্যাব-১ বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। দুই মামলার বাদী র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক।

৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অস্ত্র মামলায় চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি সম্রাট। তিনি লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র নিজ হেফাজতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখায় তার বিরুদ্ধে আনা অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মাদক আইনে করা মামলায় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপপরিদর্শক আবদুল হালিম।