ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুখবর দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সেব্রিনা ফ্লোরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০
  • ১৪৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী মাস থেকে দেশে করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হবে বলে সুখবর দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

বুধবার ‘কোভিড-১৯ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা।

সভার শুরুতে কোভিড তথ্য ব্যবস্থাপ৪না ও ই-সেবার ওপর তথ্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সেন্ট্রাল ফর মেডিক্যাল বায়োটেকনোলজি বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মারুফুর রহমান অপু।

সভায় অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, অ্যান্টিজেনের কোন কিটটি সবচেয়ে ভালো বা কার্যকর সেটি নিশ্চিত না হওয়ায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু করতে দেরি হচ্ছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত দুটি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই এমন ১০টি জেলায় এই কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে সন্দেহজনক রোগী অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় পজিটিভ না হলে তাকে অবশ্যই পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে।

প্রসঙ্গত, তিন মাসের বেশি সময় আগে অ্যান্টিজেন নীতিমালা প্রণয়ন করে রাখে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। গত ২৪ জুলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, সরকার করোনার র‌্যাপিড টেস্টের জন্য অ্যান্টিজেন টেস্টকে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়নি। এতদিনেও পরীক্ষা শুরু করতে না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ধীরগতি মহামারি নিয়ন্ত্রণ বাধাগ্রস্ত করবে।

উল্লেখ্য, গত মার্চে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে কেবল আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। অথচ পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য র‌্যাপিড টেস্টের জন্য বারবার পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটিও তাদের সভায় পিসিআর পরীক্ষার পাশাপাশি অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি টেস্ট কার্যক্রম চালুর পরামর্শ দেয়। গত ৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতর অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন সম্পর্কিত নীতিমালার খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সুখবর দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সেব্রিনা ফ্লোরা

আপডেট টাইম : ০২:২৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী মাস থেকে দেশে করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হবে বলে সুখবর দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

বুধবার ‘কোভিড-১৯ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা।

সভার শুরুতে কোভিড তথ্য ব্যবস্থাপ৪না ও ই-সেবার ওপর তথ্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সেন্ট্রাল ফর মেডিক্যাল বায়োটেকনোলজি বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মারুফুর রহমান অপু।

সভায় অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, অ্যান্টিজেনের কোন কিটটি সবচেয়ে ভালো বা কার্যকর সেটি নিশ্চিত না হওয়ায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু করতে দেরি হচ্ছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত দুটি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই এমন ১০টি জেলায় এই কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে সন্দেহজনক রোগী অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় পজিটিভ না হলে তাকে অবশ্যই পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে।

প্রসঙ্গত, তিন মাসের বেশি সময় আগে অ্যান্টিজেন নীতিমালা প্রণয়ন করে রাখে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। গত ২৪ জুলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, সরকার করোনার র‌্যাপিড টেস্টের জন্য অ্যান্টিজেন টেস্টকে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়নি। এতদিনেও পরীক্ষা শুরু করতে না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ধীরগতি মহামারি নিয়ন্ত্রণ বাধাগ্রস্ত করবে।

উল্লেখ্য, গত মার্চে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে কেবল আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। অথচ পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য র‌্যাপিড টেস্টের জন্য বারবার পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটিও তাদের সভায় পিসিআর পরীক্ষার পাশাপাশি অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি টেস্ট কার্যক্রম চালুর পরামর্শ দেয়। গত ৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতর অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন সম্পর্কিত নীতিমালার খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।