হাওর বার্তা ডেস্কঃ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা মৃত নারীদের ধর্ষণ করতেন এক যুবক। এমন অভিযোগে মুন্না ভগত (২০) নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মুন্না রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে তার মামা ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি বৃহস্পতিবার রাতে সিআইডির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও সিআইডির পক্ষে থেকে বলা হয়েছে।
দুই-তিন বছর ধরে মুন্না মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিলো বলে সিআইডি সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার বলেন, এটা জঘন্যতম ও খুবই বিব্রতকর অভিযোগ। বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হতো, সেসব লাশের মধ্য থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো মুন্না। প্রাথমিক সত্যতার পরই তাকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত ডোম ও মুন্নার মামা জতন কুমার লাল জানান, মুন্না গত দুই/তিন বছর ধরে তার সহযোগী হিসেবে মর্গে কাজ করতো। তার বাবার নাম দুলাল ভগত। গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারে। সে আরো দুই/তিন জনের সঙ্গে মর্গের পাশে একটি কক্ষেই রাতে থাকত।
মুন্নার বিরুদ্ধে মৃত নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে জতন লাল কুমার বলেন, মুন্না মাঝে মধ্যে গাঁজা বা নেশাটেশা করতো। কিন্তু এরকম একটি কাজ সে করতে পারে, তা ভাবতেই পারছি না।