সাক্ষাত্কার চলাকালীন অনস্ক্রিন তিনি ভেঙে পড়েননি ঠিকই। কিন্তু ক্যামেরা বন্ধ হতেই কেঁদে ফেললেন সানি লিওন। সানির স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার ঘটনার পর মিডিয়ার কাছে প্রকাশ করেছেন এই তথ্য। সানির সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কার নিয়ে আপাতত সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সেই প্রসঙ্গেই ড্যানিয়েল জানিয়েছেন, ‘‘আমি ওখানে ছিলাম না। ঘটনাটা কিছুই জানতাম না। ইন্টারভিউ শেষ হতেই সানি আমাকে ফোন করে সবটা জানায়। রাগে ও ঠিক মতো করে কথাও বলতে পারছিল না। শুধু এটুকু বলেছিল, তুমি ওখানে থাকলে ইন্টারভিউয়ের মাঝেই আমাকে বের করে নিয়ে আসতে। পরে কেঁদেও ফেলে।’’
ওই সাক্ষাত্কারে সানিকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘পর্ন তারকা হিসেবে আপনার অতীত কি আপনাকে তাড়া করে বেড়ায়?’’
তার উত্তরে যথেষ্ট সংযত ছিলেন সানি। বলেন, ‘‘যা করেছি বেশ করেছি। আমি ও সব নিয়ে ভাবিই না। হয়তো কোনও একদিন বড় মাপের কোনও স্টারের সঙ্গে আমি কাজ করব। সেই মুহূর্তে কাজটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমার অতীত নয়। তাই আমার পর্ন ছবিতে অভিনয় আমার এখনকার জীবনে কোনও প্রভাব ফেলে না।’’
সানির স্পিরিটকে স্যালুট জানিয়ে ওই সাংবাদিককে অপেশাদার বলেছেন ড্যানিয়েল। তিনি জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টা সানি যেভাবে সামলেছেন তা প্রশংসনীয়। ওই সাক্ষাত্কার প্রচারিত হওয়ার পরই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে সত্যিই কি এ ভাবে কারও অতীত নিয়ে খোঁচা দেওয়া সাংবাদমাধ্যমের কাজ? ক্যামেরার সামনে সানি লিওনকে বিব্রত করাই কি মূল উদ্দেশ্য ছিল?
এর সঠিক উত্তর না মিললেও সানির পাশেই দাঁড়িয়ে ওই সাংবাদিককেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বলিউডের একটা বড় অংশ। যদিও এর মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, গোটা ব্যাপারটাই পাবলিসিটি স্টান্ট। নিজের পরের ছবি ‘মস্তিজাদে’র প্রচারের জন্যই নাকি এ সব করেছেন সানি!