ঢাকা ১০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুৎ বিপর্যয়: সিলেট নগরে পানির জন্য হাহাকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৭:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
  • ১৮২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিপর্যয়ে সিলেট নগরে পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে পুরো নগর জুড়ে এ অবস্থা বিরাজ করছে।

বিভিন্ন পুকুর-জলাশয় থেকে পানি সংগ্রহ করে ব্যবহারের জন্য নিতে দেখা গেছে স্থানীয়দের।

সরেজমিন দেখা যায়, বুধবার সকালে লোকজন বালতি হাতে জেনারেটর চালিত বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, টিউবওয়েল ও পুকুরের খোঁজে বের হন। তাদের অনেকে ব্যবহারের পানি সংগ্রহ করতে সক্ষম হলেও খাবার পানির সংকটে রয়েছেন।

স্থানীয়দের অনেককে দোকান থেকে ৫ লিটারের খাবার পানির বোতল কিনে আনতে দেখা যায়। সে সুযোগে ব্যবসায়ীরা পানির দাম বাড়তি রাখছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

নগরের মিরের ময়দান এলাকার বাসিন্দা সেমন আহমদ, শামিম আহমদসহ অনেকে বলেন, ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুতহীন থাকায় খাবার ও ব্যবহারের পানি সংকটে পড়তে হয়েছে।

তাদের অভিযোগ, সিসিকের তরফ থেকে জেনারেটরের মাধ্যমে পানি সরবরাহের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, নগরীতে পাম্পগুলোর একটি জেনারেটর চালিত। সেটি থেকে মেয়রের তত্ত্বাবধানে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পানি সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। তবে পুরো নগরে পানির জন্য হাহাকার থাকলেও সবখানে পানি সরবরাহ করা সম্ভব না।

এ বিষয়ে জানতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ফোন দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবারের মধ্যেও বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া যাবে কিনা, এ বিষয়ে এখনো কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সিলেট।
আগুনে পুড়ে যাওয়া জেনারেটর কখন ঠিক হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোকাম্মিল হোসেন।

তিনি বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে আজকের দিনেও বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া যাবে কিনা, তা বলা যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেটে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কুমারগাঁওয়ে ১৩২/৩৩ এমবিএ উপ কেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সিলেটে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে দুটি উচ্চ ক্ষমতার ট্রান্সফরমার পুড়ে গেলে পুরো সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিদ্যুৎ বিপর্যয়: সিলেট নগরে পানির জন্য হাহাকার

আপডেট টাইম : ০৩:৩৭:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিপর্যয়ে সিলেট নগরে পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে পুরো নগর জুড়ে এ অবস্থা বিরাজ করছে।

বিভিন্ন পুকুর-জলাশয় থেকে পানি সংগ্রহ করে ব্যবহারের জন্য নিতে দেখা গেছে স্থানীয়দের।

সরেজমিন দেখা যায়, বুধবার সকালে লোকজন বালতি হাতে জেনারেটর চালিত বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, টিউবওয়েল ও পুকুরের খোঁজে বের হন। তাদের অনেকে ব্যবহারের পানি সংগ্রহ করতে সক্ষম হলেও খাবার পানির সংকটে রয়েছেন।

স্থানীয়দের অনেককে দোকান থেকে ৫ লিটারের খাবার পানির বোতল কিনে আনতে দেখা যায়। সে সুযোগে ব্যবসায়ীরা পানির দাম বাড়তি রাখছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

নগরের মিরের ময়দান এলাকার বাসিন্দা সেমন আহমদ, শামিম আহমদসহ অনেকে বলেন, ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুতহীন থাকায় খাবার ও ব্যবহারের পানি সংকটে পড়তে হয়েছে।

তাদের অভিযোগ, সিসিকের তরফ থেকে জেনারেটরের মাধ্যমে পানি সরবরাহের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, নগরীতে পাম্পগুলোর একটি জেনারেটর চালিত। সেটি থেকে মেয়রের তত্ত্বাবধানে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পানি সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। তবে পুরো নগরে পানির জন্য হাহাকার থাকলেও সবখানে পানি সরবরাহ করা সম্ভব না।

এ বিষয়ে জানতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ফোন দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবারের মধ্যেও বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া যাবে কিনা, এ বিষয়ে এখনো কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সিলেট।
আগুনে পুড়ে যাওয়া জেনারেটর কখন ঠিক হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোকাম্মিল হোসেন।

তিনি বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে আজকের দিনেও বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া যাবে কিনা, তা বলা যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেটে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কুমারগাঁওয়ে ১৩২/৩৩ এমবিএ উপ কেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সিলেটে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে দুটি উচ্চ ক্ষমতার ট্রান্সফরমার পুড়ে গেলে পুরো সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।